জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ,আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারীদের জন্য দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
- ১লা জুলাই ২০২৫ রাত ০৮:০৮:৫৫
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর

মেহেদি হাসান
জামায়াতে ইসলামী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ,আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারীদের জন্য দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১জুলাই) বিকাল ৫ টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সেন্টু মার্কেটের সামনে দোয়া মাহফিলটি অনুষ্ঠিত হয়।
দোয়া অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আমীর মাও: আবুজার গিফারীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমীর মো: নূরুল ইসলাম বুলবুল।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সাবেক মেয়র মো: নজরুল ইসলাম, সাবেক নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক লতিফুর রহমান, জেলা নায়েবে আমীর ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোখলেসুর রহমান, জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু বকর, সদর উপজেলা আমীর হাফেজ আব্দুল আলীম, পৌরসভার নায়েবে আমীর শফীক এনায়েতুল্লাহ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো: নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যখন বিপর্যস্ত, হতাশাগ্রস্ত অবস্থায় তখন নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে দেওয়া হয়েছিলো আর এর মাধ্যমে বিগত সরকার আবার পিছন দরজা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলো। এবং ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার জন্য পরিকল্পনা করেছিলো। বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীর অসংখ্য নেতাকর্মীকে হত্যা,গুমসহ নির্যাতনের স্টিমরোলার চালিয়েছিলো। কিন্তু জামায়াতে ইসলামীকে দমানো জায়নি, প্রতিটা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলো।
পিলখানা হত্যার মাধ্যমে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দূর্বল করে দেওয়া হয়েছিলো, এবং বিডিআরের নাম পরিবর্তন করে
তিনি আরো বলেন, দেশের বিচারব্যবস্থা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দলীয়করণ করা হয়েছিলো। নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিলো। আর এইভাবে প্রতিটি স্তরকে ধ্বংস করা হয়েছিলো যার মাধ্যমে ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার পরিকল্পনা করেছিলো ফ্যাসিস্ট হাসিনা।
জুলাই-আগস্টে যেভাবে ছাত্রদের উপর নিপিড়ন চালানো হয়েছিলো তা আপনারা দেখেছিলেন সাধারণ মানুষ, কর্মজীবী মানুষ, পেশাজীবি মানুষ রাস্তায় নেমেছিলো। এবং হাইকোর্টের বিরুদ্ধে যখন ছাত্রসমাজ নেমেছিলো তখন পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হয়েছিলো। ফ্যাসিস্ট হাসিনা যখন রাজাকার ট্যাগ দিয়েছিলো তখন ছাত্রসমাজ স্লোগান তুলেছিলো তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার। কিন্তু পরবর্তীতে এই স্লোগানকে কৌশলে পরিবর্তন করা হয়, বলা হয় তুমি কে আমি কে স্বৈরাচার স্বৈরাচার।
এই আন্দোলনে যখন ছোটছোট শিশু, অভিভাবক, ছাত্রসমাজ নেমেছিলো তখন এই গনঅভ্যুত্থানের ফলে ফ্যাসিস্ট হাসিনা পিছন দরজা দিয়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিলো।
যারা শহীদ, আহত ও পঙ্গুত্ববরণ করেছিলো তাদের জন্য দোয়া করি। এবং তাদের স্বাভাবিক জীবনের জন্য দোয়া করি।
তিনি বলেন, আমরা চাইনা আবারও কেউ প্রতিবেশী রাস্ট্রের তাবেদারির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসুক। যদি কেউ আসে আবার ছাত্রজনতাকে সাথে নিয়ে রুখে দেওয়া হবে।
০ টি মন্তব্য