আজ শনিবার, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩শে নভেম্বর ২০২৪

জেম হত্যা মামলার ৫ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

মেহেদি হাসান

স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর খাইরুল আলম জেম হত্যা মামলার ৫আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে মূল হত্যাকারী জেলা কৃষকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেসবাউল হক টুটুল, চিহ্নিত সন্ত্রাসী মাসুদ রানা ওরফে রানা, মোঃ ইব্রাহিম ওরফে হাবা, শামীম রেজা ও মিলন হোসেন। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার সময় জেলা পুলিশ অফিসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান, পুলিশ সুপার এ এইচ এম আবদুর রকিব। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এই হত্যাকান্ডের পর থেকেই আসামীদের গ্রেফতারে সদর থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গতকাল রবিবার রাতে ৫জনকে গ্রেফতার করে। তিনি আরও বলেন, গ্রেফতারকৃতদের আজ সোমবার আদালতে পাঠিয়ে তাদের রিমান্ডের আবেদন করা হবে এবং রিমান্ড পেলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জেম হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র  মোঃ  মোখলেসুর রহমানকে প্রধান আসামী করে সাবেক পৌর কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা খায়রুল আলম জেম হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও জেলা যুবলীগের বহিস্কৃত সভাপতি ও সংসদ উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সামিউল হক লিটন ও জেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি মেসবাউল হক টুটুল, চরবাগডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান শহিদ রানা টিপুসহ ৪৮জনের নাম উল্লেখ করে নিহত জেমের ভাই মোঃ মনিরুল ইসলাম বাদি হয়ে শনিবার সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলা নং-২৮, তারিখ-২২/০৪/২০২৩ ইং। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ওসি মোঃ সাজ্জাদ হোসেন জানান, এঘটনায় মামলার এজাহারভুক্ত আসামী মেরাজ খোনাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গেছে, গত বুধবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের উদয়নমোড় নামক স্থানে শিবগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা খায়রুল আলম  জেমকে কুপিয়ে হত্যা করে দূর্বৃত্তরা। এঘটনার প্রতিবাদে বুধবার রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা ও সদর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে আ.লীগসহ ক্ষুব্ধ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এছাড়া পরেরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে নিহত জেমের লাশ নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী মহাসড়কের শান্তির মোড় এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। এঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য মোঃ আব্দুল ওদুদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পুলিশের দুর্বলতার কারণে এ হত্যাকান্ডটি ঘটেছে। তিনি আরও বলেন, খাইরুল আলম জেমের হত্যার পেছনে স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি নব্য আওয়ামী লীগ নেতা, জেলা যুবলীগের বহিস্কৃত এক নেতা ও এক পুলিশ কর্মকর্তার ইন্ধন রয়েছে। দ্রুত তাদেরকে আইনের আনার জন্য জোর দাবি জানান তিনি। এদিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা খায়রুল আলম  জেমকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় বুধবার রাতেই সন্দেহভাজন ২ জনকে আটক করে পুলিশ। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম সাহিদ সাংবাদিকদের জানান, হত্যার পর থেকেই আসামীদের ধরতে পুলিশ তৎপরতা শুরু করে এবং এই হত্যা মিশনে ১২ থেকে ১৫ জন সরাসরি অংশ নিয়েছেন বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। 

মন্তব্য সমুহ
০ টি মন্তব্য
মন্তব্য করতে লগইন করুন অথবা নিবন্ধন করুন
এই শ্রেনির আরো সংবাদ

ফিচার নিউজ