আজ রবিবার, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪শে নভেম্বর ২০২৪

চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রতারণার মাধ্যমে দেনমোহরের টাকা আদায়ের চেষ্টা ও মিথ্যা মামলা দায়ের

মেহেদি হাসান

প্রতারণার মাধ্যমে দেনমোহরের টাকা আদায়ের লক্ষে এক ব্যক্তিকে একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগির পরিবার।  শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের একটি হোটেলে মিথ্যা মামলা, হয়রানির শিকার ও আবু বক্কর সিদ্দিকের মুক্তির দাবিতে তার পরিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, ঢাকায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করাকালীন সময়ে আবু বক্কর সিদ্দিক নিজ পছন্দে ২০১৩ সালের ১১ নভেম্বর পিরোজপুর জেলার ও বর্তমানে ঢাকা মহানগরীর ডেমরা থানার বাঁশেরপুল এলাকার মোঃ আমির হোসেনের মেয়ে মোসাঃ সুমাইয়া ফারজানা মীমকে বিয়ে করে। এসময় দেনমোহর ৩ লক্ষ টাকার স্থলে প্রতারণার মাধ্যমে ৩০ লক্ষ টাকার নিকাহনামা তৈরী করে। একপর্যায়ে আবু বক্করের সাথে স্ত্রী সুমাইয়ার দ্বন্দ্ব শুরু হয়। 

পরে সরকারি চাকুরি পেলে রাজশাহী মহানগরীর মহিষবাথানে ভাড়া বাড়িতে চলে আসে আবু বক্কর। ২০২২ সালের ২ সেপ্টেম্বর আবু বক্করকে তার ভাড়া বাসা থেকে কয়েক ব্যক্তি মাইক্রোতে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে তার পকেটে হেরোইনের প্যাকেট ঢুকিয়ে র‌্যাবের হাতে তুলে দেয়। পরে যাত্রাবাড়ি থানায় মামলা দায়ের করার পর দীর্ঘ ৪ মাস কারাগারে থাকার পর জামিন পেলেও আবারও তাকে ২০২৩ সালের ২ মার্চ মাইক্রোতে করে একইভাবে তুলে নিয়ে পকেটে হেরোইন দিয়ে ঢাকার শ্যামপুর থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করে। এভাবে একের পর মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করতে থাকে। সুমাইয়া তার স্বামীকে বলে মোহরানার ৩০ লক্ষা টাকা দিলে মামলা থেকে নিস্কৃতি দেওয়া হবে। এদিকে ভুক্তভোগির মা সাকেরা বেগম দাবী করে বলেন, তার ছেলেকে সাজানো নিকাহনামা দিয়ে ৩০ লক্ষ টাকা আদায়ের চেষ্টা করছে। যেহেতু নিকাহনামাটি জাল, তারা মোহরানার জন্য যথাযথ আদালতে মামলা না করে চাপ সৃষ্টি করে টাকা আদায়ের চেষ্টা করছে। সুষ্ঠ তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে বলে ভুক্তভোগীর পরিবার জানান। 


মন্তব্য সমুহ
০ টি মন্তব্য
মন্তব্য করতে লগইন করুন অথবা নিবন্ধন করুন
এই শ্রেনির আরো সংবাদ

ফিচার নিউজ