জেলা প্রশাসকের মহানুভবতায় এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেলেন রিফাত শাহরিয়া
- ৩রা নভেম্বর ২০২২ সন্ধ্যা ০৬:৫৮:৩৮
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর
মেহেদি হাসান
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁনের মহানুভবতায় এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন মো. রিফাত শাহরিয়া নামের এক পরীক্ষার্থী।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন নবাবগঞ্জ বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ও টেকনিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী মো. রিফাত শাহরিয়া ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। এবার এ কলেজ থেকে ৪৯ জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা দেয়ার কথা। কিন্তু অন্যদের অ্যাডমিট কার্ড আসলেও মো. রিফাত শাহরিয়া’র আসেনি। সূত্রটি জানায়, ফরম ফিলাপের সময় ভুলবশত মো. রিফাত মাহরিয়া’র ফরমটি সঠিকভাবে পুরণ হয়নি। ফলে তার অ্যাডমিট কার্ড আসেনি। কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনো সুরাহ করতে না পারায় মো. রিফাত শাহরিয়া জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগটি পাওয়ার পর জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিব খাঁন তাৎক্ষণিক অতিরক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আনিছুর রহমানকে বিষয়টি দেখভাল করার দায়িত্ব দেন। পরবর্তীতে অতিরিক্ত আনিছুর রহমান বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এর সাথে রিফাত শাহরিয়া ফরম ফিলাপের ভুলের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড রিফাত শাহরিয়ার ফরম ফিলাপ সঠিকভাবে করে অ্যাডমিট কার্ড প্রদান করার ব্যবস্থা করেন। ফলে আগামী ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছেন মো. রিফাত শাহরিয়া।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আনিছুর রহমান জানান, নবাবগঞ্জ টেকনিক্যাল ও বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী আসন্ন ৬ নভেম্বর কলেজ কর্তৃপক্ষের ভুলের কারণে এইচএসসি পরীক্ষা দিতে পারছে না এ মর্মে একটি লিখিত অভিযোগ করে। অভিযোগটি পাওয়া মাত্রই জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁন স্যার আমাকে নির্দেশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে আমি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সাথে কথা বলে পরীক্ষা দেওয়ার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
রিফাত শাহরিয়া জেলা প্রশাসক একে এম গালিভ খাঁন ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আনিছুর রহমানের নিকট কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
এ বিষয়ে টেকনিক্যাল বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের সভাপতি আমানুল্লাহ বাবু জানান, কলেজের ৪৯ জন পরীক্ষার্থীর ফর্ম ফিলাপের জন্য আমরা বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে কাগজ প্রেরণ করি কিন্তু ভুলক্রমে ৪৮ জনের এডমিট কার্ড আমাদের কলেজে আসে। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক স্যার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এডমিড কার্ডের ব্যবস্থা করে দেন।
০ টি মন্তব্য