আজ রবিবার, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪শে নভেম্বর ২০২৪

গোমস্তাপুরে সড়কে ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেফতার ২

মেহেদি হাসান

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে সড়কে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে দাঁড় করানো হয় মোটরসাইকেল চালক জুয়েল ও তাঁর সহযোগী সাদ্দাম হোসেন কে। তাঁদের কাছে মোবাইল ফোন টাকা দাবি করে মুখে গামছা বেঁধে থাকা ছিনতাইকারিরা। পেছনে বসে সাদ্দাম হোসেন তাঁর মোবাইল ফোন দিয়ে দূরে সরে যায়।

তবে জুয়েল তার কাছে থাকা মোবাইল ও মোটরসাইকেল না দিয়ে ডাকাতদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু করেন। মুখে বেঁধে রাখা গামছা সরে গেলে পরিচিত ছিনতাইকারি লালচাঁনকে চিনে ফেলেন জুয়েল। চিনে ফেলায় ছুরিকাঘাত করে তারা হত্যা করে পেয়ারা ব্যবসায়ী জুয়েলকে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে সড়কে ছুরিকাঘাত করে জুয়েল হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে খুনে সরাসরি জড়িত লালচাঁন ও রুবেলকে। গ্রেপ্তারকৃত লালচান শিবগঞ্জ উপজেলার পলাশবাড়ির মৃত গিয়াসউদ্দিনের ছেলে ও রুবেল একই উপজেলার চাকলা-ডুবলিপাড়ার আব্দুস সামাদের ছেলে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আসগর আলী সোমবার রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এসআই আসগর জানান, রোববার রাতে ঢাকার আশুলিয়ায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লালচান ও রুবেল খুনের বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন।

জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানান, ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে তাঁরা রাস্তায় ঘুরছিলেন। প্রথমে এক ভ্যানচালকের কাছ থেকে ২০০ টাকা ছিনতাই করে। সকাল সাড়ে ৫টার দিকে মোটরসাইকেলচালক জুয়েলকে দাঁড় করায়। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে মুখ থেকে গামছা সরে যাওয়ায় লালচানকে চিনে ফেলেন জুয়েল। চিনে ফেলায় তাঁর কানের কাছে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। সেই ছুরিকাঘাতে জুয়েলের মৃত্যু হয়। এ সময় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নিয়ে যায় ছিনতাইকারিরা।

আসামি রুবেলের দেয়া তথ্যমতে, তার বোনের বাড়ি নাচোল থেকে ছিনতাই হওয়া মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা পেশাদার ছিনতাইকারি বলে জানান গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আসগর।

প্রসঙ্গত, ৫ অক্টোবর ভোর সাড়ে ৫টার দিকে গোমস্তাপুর উপজেলার কুইচ্চাগাড়ি এলাকায় ছুরিকাঘাত করে জুয়েল (৩৫)কে হত্যা করা হয়। তার সঙ্গে থাকা সাদ্দাম হোসেন নামে আরেকজন আহত হন। নিজের পেয়ারাবাগান দেখতে গোমস্তাপুর থেকে মোটরসাইকেলে সাদ্দামকে নিয়ে নাচোল যাচ্ছিলেন জুয়েল। কুইচ্চাগাড়ি এলাকায় আসলে কয়েকজন তাদের পথ আটকায়।

এ সময় সাদ্দাম দৌড়ে পালিয়ে যায়। আর জুয়েলকে ছুরিকাঘাত করে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়রা জুয়েলকে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে মারা যান তিনি। খুনের ঘটনায় জুয়েলের পিতা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে গোমস্তাপুর থানায় মামলা করেন। আসামি করা হয় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের।

মন্তব্য সমুহ
০ টি মন্তব্য
মন্তব্য করতে লগইন করুন অথবা নিবন্ধন করুন
এই শ্রেনির আরো সংবাদ

ফিচার নিউজ