আজ রবিবার, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪শে নভেম্বর ২০২৪

মুক্তির মহানায়ক এর জন্মদিনে এতিম শিশুদের নিয়ে অন্যরকম দিন কাটালেন জেলা প্রশাসক গালিভ খান

মেহেদি হাসান

ওদের কারো মা কারো বাবা নেই। তাই মা বাবার মত আদর- স্নেহ মেলে না। সরকারি শিশু পরিবারে বেড়ে উঠছে। তাই সমাজের আর দশটা শিশুর থেকে আলাদা ওদের জীবন। কিন্তু  সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু  দিবসে জেলা প্রশাসক এ কে এম  গালিভ খান, জেলা প্রশাসকের পত্নী মাহফুজা সুলতানার কাছ থেকে বাবা মায়ের মমতা পেয়ে যেন অন্যরকম একটি দিন কাটিয়েছে এতিম শিশুরা।
বাবা মায়ের মমতায় নিজ হাতে ওদের পাতে খাবার তুলে দিলেন  জেলা প্রশাসক এ কে এম  গালিভ খান, জেলা প্রশাসকের পত্নী  মাহফুজা সুলতানা। এতে মা বাবা না থাকার দুঃখ কিছু সময়ের জন্য হলেও ভুলে যায় এতিম শিশুরা। জন্মদিনে কেক কাটা,ভাল খাবার পরিবেশন সেই সাথে জেলা প্রশাসক নিজেই এতিম শিশুদের জন্য ২২ কেজি ওজনের বোয়াল মাছ, মিষ্টি,দইসহ নানা ধরনের খাবার নিয়ে যান।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্রে রয়েছে সরকারি শিশু পরিবার। এ পরিবারে স্বজনবিহীন প্রায় ১০০জন শিশু বেড়ে উঠছে। পড়ালেখার পাশাপাশ খেলাধূলার সুযোগও পাচ্ছে তারা। তারপরও মা বাবা আর স্বজন না থাকার বেদনা ওদের সব সময় ঘিরে রাখে।

জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে শিশু পরিবারের এসব অনাথ শিশুদের মাঝে ভালো খাবর বিতরণ করা হয়। জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান ও তার পত্নী  মাহফুজা সুলতানা অনাথ শিশুদের মায়ের মমতায় নিয়ে নিজ হাতে খাবার পরিবেশন করেন। থালে থালে বেড়ে দেন পোলাও, মাংস। নেন তাদের স্বাস্থ্যের  খোঁজ-খবর।  
এতিম শিশুদের মাঝে জেলা প্রশাসকের খাবার পরিবেশনের সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট  দেবেন্দ্রনাথ উরাঁও, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহি অফিসার ইফফাত জাহান, সহকারী কমিশনার শাহনাজ পারভিন।
 জেলা প্রশাসক এ কে এম  গালিভ খান তার অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, সরকার এসব শিশুর জন্য ভালো খাবারের ব্যবস্থা করেছে। তাদের খাবারের সময় গিয়েছিলাম। এই শিশুদের একটু খোঁজ খবর নিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, এটা শুধু সরকার বা জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব নয়। সবাই যেন এগিয়ে আসে। বিত্তবানরা যদি তাদের সন্তানদের জন্মদিন এসব বাচ্চাদের নিয়ে পালন করে, তাতে ওদের অনেক ভালো লাগে। আমি চাই সমাজের সবাই সুবিধাবঞ্চিত এসব শিশুর পাশে দাঁড়াক। তাদেরকে পরিবারের সদস্য হিসেবে  দেখুক। পারিবারিক যে সব উৎসব আছে সেসব উৎসবের সাথে এদের একাত্ম করুক।

মন্তব্য সমুহ
০ টি মন্তব্য
মন্তব্য করতে লগইন করুন অথবা নিবন্ধন করুন
এই শ্রেনির আরো সংবাদ

ফিচার নিউজ