চাঁপাইনবাবগঞ্জে শ্রী শ্রী ঠাকুর দয়ানন্দ দেবের আবির্ভাব দিবস পালিত
- ২২শে মে ২০২১ সন্ধ্যা ০৭:৫৯:০১
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর
মেহেদি হাসান
চাঁপাইনবাবগঞ্জে শ্রী শ্রী ঠাকুর দয়ানন্দ দেবের আবির্ভাব দিবস উপলক্ষে মহানাম যজ্ঞ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার শহরের রামসীতা মন্দিরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দেবেন্দ্র নাথ উরাঁওয়ের উদ্যোগে এর আয়োজন করা হয়।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. শংকর কুমার কুন্ডু, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক কনক রঞ্জন দাস, সহকারী কমিশনার চন্দন কর, রামসীতা মন্দিরের সেক্রেটারি সুনীল কুমার বর্মণ, সদস্য গৌরী চন্দ সিতু, বাংলাদেশ পূজা উদ্্যাপন পরিষদ-চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক সাংবাদিক ডাবলু কুমার ঘোষ, সদস্য সচিব ধনঞ্জয় চ্যাটার্জী, রামসীতা মন্দিরের পুরোহিত চন্দন কুমার পা-েসহ মন্দিরের সদস্য ও শ্রী শ্রী ঠাকুর দয়ানন্দ দেবের ভক্তগণ।
উল্লেখ্য, গত শতকের শুরুর দিকে (১৯০৭-১৯০৮ খ্রিষ্টবাব্দ) ভারতবর্ষে যখন স্বদেশী আন্দোলন এবং পৃথিবীব্যাপী প্রথম বিশ্বযুদ্ধের তোড়জোড় চলছিল তখন ‘জীবকে নিরবচ্ছিন্ন আনন্দদান, পৃথিবীতে শান্তি স্থাপন, সমগ্র জগতে এক মহাভ্রাতৃরাজ্যের প্রতিষ্ঠা’ এই সংকল্প নিয়ে আসামের শিলচর শহর থেকে ৩ মাইল দূরে অরুণাচল আশ্রমের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শ্রী শ্রী ঠাকুর দয়ানন্দ দেব। ঠাকুর দয়ানন্দের জন্মস্থান ছিল বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার বামৈ ইউনিয়নের বামৈ গ্রামে। তাঁর প্রকৃত নাম ছিল গুরুদাশ চৌধুরী। তিনি ১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দের ২০ ফেব্রুয়ারি বামৈ ইউনিয়নের কাটিহারা গ্রামে অমৃত মন্দির আশ্রমটি প্রতিষ্ঠা করেন।
কাটিহারা মৌজার প্রায় ৪ একর জমিজুড়ে শ্রী শ্রী ঠাকুর দয়ানন্দের আশ্রমটি উপজেলা সদর থেকে ২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি দেবোত্তর সম্পত্তি। প্রতি বছর শ্রী শ্রী ঠাকুর দয়ানন্দের জন্ম তিথি ও তিরোধান দিবস পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শত শত লোকের সমাগম ঘটে।
শ্রী শ্রী ঠাকুর দয়ানন্দের জন্ম ১২৮৮ বঙ্গাব্দের ৭ জ্যৈষ্ঠ (১৮৮১ খ্রিষ্ট)। প্রথম মহাযুদ্ধের পর ১৯১৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর প্যারিসে একটি শান্তি সম্মেলন হয়েছিল, যা প্যারিস পিস কনফারেন্স ১৯১৮ নামে পরিচিত। সেই সম্মেলনের পূর্বে ১৭ ডিসেম্বর শ্রী শ্রী ঠাকুর দয়ানন্দ দেব নিজেকে ‘বিশ্ব সুহৃদ ও সন্ন্যাসী’ এই পরিচয় দিয়ে পিস কনফারেন্সের সভ্যদের কাছে একটি মহামিলনী (World Union of Free People) ও এক যৌথ ভা-ারের (World Commonwealth) পরিকল্পনা পাঠিয়েছিলেন। ওই দিবসকে স্মরণ করে আশ্রমটিতে প্রতি বছর উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
০ টি মন্তব্য