আজ মঙ্গলবার, ৩১শে বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ই মে ২০২৪

চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রতারণা করে প্রবাসীর স্বর্ণ আত্মসাৎ করে পুলিশের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে এক প্রতারক

মেহেদি হাসান

প্রতারণা করে প্রবাসীর স্বর্ণ আত্মসাৎ করে আবার পুলিশের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে এক প্রতারক। রোববার (১১ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের  সামনে এ মানববন্ধন করে ওই প্রতারক।

প্রতারক কাতার ফেরত রাশিদুল ইসলাম রঞ্জু (২৮) চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ১৫ নং ওয়ার্ডের মিস্ত্রিপাড়ার রবুর ছেলে।

প্রতারক নিজেকে সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দাবী করেন এবং আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে  ১৫ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী বলে জানান। ১৫ নং ওয়ার্ডবাসীর ব্যানারে তিনি এ মানববন্ধন করেন।

ঘটনায় প্রকাশ, চলতি মাসের ২ তারিখে কাতার থেকে ফেরত আসেন প্রতারক রঞ্জু। ফেরত আসার সময় সদর উপজেলার আজাইপুর নিবাসী আব্দুল কাদের ও নতুনহাট এলাকার মোরসালিন (কাতার প্রবাসী) ২জন তাকে ২ টি সোনার বার দেয় তাদের বাড়ীতে পৌঁছে দেয়ার জন্য।

২টি স্বর্ণের বারের ওজন ২০ ভরি যার আনুমানিক মুল্য ১২ লক্ষ টাকা। কিন্তু প্রতারক দেশে ফিরে তাদের পরিবারের সাথে কোন যোগাযোগ করেনি, এমনকি তার মোবাইল ফোন বন্ধ রাখে। ২ দিন কোন খোঁজ না পেয়ে তাদের পরিবারের লোকজন ৪ অক্টোবর রঞ্জুর বাড়ীতে এসে স্বর্ণ চাইলে, রঞ্জু অসংলগ্ন কথা বলতে থাকে। এক পর্যায়ে রঞ্জু তাদের স্বর্ণ দিবেনা বলে জানায়। এব্যাপারে কোন বাড়াবাড়ী করলে প্রাণনাশেরও হুমকি দেয় রঞ্জু।

এব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে কাতার প্রবাসী আব্দুল কাদেরের ভাই আজাইপুর নিবাসী মৃত একরামুল হকের ছেলে নাসিরুল ইসলাম পুলিশ সুপার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

 অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সুপার এএইচএম আব্দুর রকিবের নির্দেশনায় ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবু আব্দুল্লাহ জাহিদ শনিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরেপ রঞ্জুকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। ডিবির প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বর্ণের বার কাদের আর মোরসালিনের স্বীকার করলেও তা হারিয়ে গেছে বলে জানায় রঞ্জু। এখানেও সে একেক সময় একেক কথা বলে ডিবি পুলিশকে বিভ্রান্ত করে।

এক পর্যায়ে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমানুল্লাহ বিশ্বাস বাবু সমাধান করে দেয়ার আশ্বাস দিলে তার জিম্মায় রঞ্জুকে ছেড়ে দেয় ডিবি পুলিশ।

কিন্তু রঞ্জু কোন সমাধানে না বসে উল্টো উপ-পরিদর্শক আবু আব্দুল্লাহ জাহিদের বিরুদ্ধে উদ্ভট মানববন্ধন করেন।

এবিষয়ে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমানুল্লাহ বিশ্বাস বাবুর নিকট জানতে চাইলে, তিনি বলেন, রঞ্জু যে অভিযোগে মানববন্ধন করেছে, তা সঠিক নয়। স্বর্ণের বার বাদীপক্ষের তা স্বীকার করলেও তা হারিয়ে গেছে বলে জানায় রঞ্জু। উভয়পক্ষের সম্মতিতে আমাকে মীমাংসা করে দেয়ার জন্য এসআই জাহিদ অনুরোধ করলে আমি তাতে সম্মতি জানাই। উভয়পক্ষের সম্মতিতে আগামীকাল সোমবার বিকেলে মীমাংসায় বসার কথা থাকলেও আমাকে না জানিয়ে রঞ্জুর মানববন্ধন করা সঠিক হয়নি।

উপ-পরিদর্শক আবু আব্দুল্লাহ জাহিদ বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রঞ্জুকে আটক করি। পরবর্তীতে বাদী, বিবাদী মীমাংসা করে নিবে এই আশ্বাস দিলে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমানুল্লাহ বাবুর জিম্মায় রঞ্জুকে ছেড়ে দেয়।  আগামীকাল (সোমবার) বিকেলে তাদের মীমাংসায় বসার কথা।

মন্তব্য সমুহ
০ টি মন্তব্য
মন্তব্য করতে লগইন করুন অথবা নিবন্ধন করুন
এই শ্রেনির আরো সংবাদ

ফিচার নিউজ