সাংবাদিক ইমতিয়ার ফেরদৌস সুইট মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মনেপ্রাণে একজনসাংবাদিক ছিলেন। একজন ভাল মানুষও ছিলেন। দায়িত্ব পালনে ছিলেন তিনি সাহসীও নিষ্ঠাবান। প্রয়াত সুইট তার কর্মের মাধ্যমে সাংবাদিক কমিউনিটিতে আজীবন
বেঁচে থাকবেন। তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দৈনিক চাঁপাই চিত্রআয়োজিত স্মরণসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।বক্তারা বলেন তার বিভিন্ন সাহসী ও বস্তুনিষ্ঠ প্রতিবেদন এবং ফিচার তাকেঅল্প বয়সে পরিচিত করে তোলে।
বিশেষ করে যে কোনো বিষয়ভিত্তিক সংবাদ ও ফিচারতৈরির দক্ষতা এ প্রজন্মের সাংবাদিকদের জন্য অনুকরণীয় সাহসিকতার সঙ্গেতিনি বিভিন্ন অসঙ্গতি ও অনিয়ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছেন। যার ফলেচাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষ তাকে চিরদিন মনে রাখবে।
২০১৯ সালের ১৫ আগস্ট সকালসাড়ে ৬টার দিকে নিজস্ব বাসভবনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৩৮ বছর বয়সেমারা যান সাহসী সাংবাদিক সুইট।
দৈনিক চাঁপাই চিত্রের সম্পাদক মো. কামাল উদ্দীন তার বক্তব্যে বলেন,সাংবাদিক ইমতিয়ার ফেরদৌস সুইট মারা গেছে বিশ্বাস হয় না। তবে সে কখনো মারাযাবে না, বিভিন্ন কাজের মাঝেই বেঁচে থাকবে। চাঁপাই চিত্র যতদিন থাকবেসুইটের কথা ততদিন মনে রাখবে।
চাঁপাই চিত্রের নিজস্ব প্রতিবেদক ফারুক আহমেদ চৌধুরীর সঞ্চলানায় স্মরণসভায় দৈনিক চাঁপাই চিত্রের সম্পাদকমণ্ডলির সভাপতি মো. সামিউল হক লিটন,চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তফা মন্টু, টি ইসলামগ্রুপের চেয়ারম্যান মো. তরিকুল ইসলাম, এটিএন বাংলার চাঁপাইনবাবগঞ্জপ্রতিনিধি নাসিম মাহমুদ, গৌড় বাংলার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আজিজুর রহমানশিশির, জাসদ নেতা মো. মনিরুজ্জামান মনির, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কৌশিক
আহমেদ, প্রয়াত সাংবাদিক সুইটের ছোট ভাই ইমতিয়াজ মাসরুর কুইক বক্তব্যরাখেন।
স্মরণ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দৈনিক চাঁপাই চিত্রের নির্বাহী সম্পাদকঅলিউজ্জামান রুবেল, ফটো সাংবাদিক সারওয়ার জাহান লিটন, নিজস্ব প্রতিবেদকমসিউর রহমান জিহাদ, সার্কুলেশন ব্যবস্থাপক আল-আমিন ইসলাম প্রমুখ। দোয়া
পরিচালনা করেন পাঠানপাড়া মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. আমানউল্লাহ।
প্রয়াত সাংবাদিক সুইট দৈনিক চাঁপাই চিত্রের প্রতিষ্ঠাতা বার্তা সম্পাদকছিলেন। এর আগে তিনি দৈনিক নবাব, সাপ্তাহিক গৌড় সংবাদ, দৈনিক আমার দেশ,বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ওয়ান, দৈনিক যুগান্তর ও সব শেষ কালের কণ্ঠ,জিটিভি ও দৈনিক করতোয়ার চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
০ টি মন্তব্য