আজ শুক্রবার, ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২শে নভেম্বর ২০২৪

মহারাজপুরের পূর্বটিকরা গ্রামের বৃদ্ধা রোকেয়ার গলাকেটে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৩

মেহেদি হাসান

চাঁপাইনবাবগঞ্জ  সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের পূর্বটিকরা গ্রামের নিজ ঘরে বৃদ্ধা নারী রোকেয়া বেগমকে গলা কেটে হত্যা ঘটনায় মুলহোতোসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে সদর মডেল থানা পুলিশ। সাথে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত হাসুয়াটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। জমির দখল নিতেই এই হত্যাকান্ড বলে স্বীকার করেছে গ্রেফতারকৃত মূলহোতা রোকেয়ার সৎ জামাই সেকান্দার আলী। এই হত্যাকান্ডে ৫০হাজার টাকায় ৪জন কিলারকে ভাড়া করা হয়। এদের মধ্যে বড় সাহেব ও বারোতেরো নামে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অন্যদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বুধবার বিকেলে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান পুলিশ সুপার এইচএম আব্দুর রাকিব। এর আগে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৬৪ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন সেকান্দার আলী। পুলিশ সুপার এইচএম আব্দুর রাকিব সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান, গত ১৩জুন সকালে সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের পূর্বটিকরা গ্রামের নিজ ঘর থেকে রোকেয়া বেগমের গলাকাটা ও বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করে সদর মডেল থানা পুলিশ। 

এঘটনার পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেলের ইকবাল হোছাইনের নেতৃত্বে ক্লু-লেস এই হত্যাকান্ডের তদন্তে নামেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি অপারেশন মিন্টু রহমান। তারা গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রোকেয়ার সৎ মেয়ের জামাই পশ্চিম টিকরা গ্রামের মৃত লুথু মন্ডলের ছেলে সেকান্দার আলীকে গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে আটক করে এবং জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে রোকেয়া বেগমকে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেন তিনি। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সেকান্দার জানায় তারা সম্পত্তির লোভে অপর চার জামাই সাড়ে ১২হাজার করে টাকা চাঁদা উঠিয়ে ৪জন কিলারকে ভাড়া করে এবং কিলারদের সাথে সেও হত্যাকান্ডে অংশ নেয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কিলার গ্রুপের বড়সাহেব ও বারোতেরো নামে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। সে আরও স্বীকার করে তিনি গত বছরের ঠিক একই দিন অর্থাৎ ১২জুন রাতে শশুর শুকুরদিকে গলা টিপে হত্যার পর মরদেহ রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালানো হয়েছিল।


মন্তব্য সমুহ
০ টি মন্তব্য
মন্তব্য করতে লগইন করুন অথবা নিবন্ধন করুন
এই শ্রেনির আরো সংবাদ

ফিচার নিউজ