আজ সোমবার, ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০শে মে ২০২৪

বিদায় নিচ্ছেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার আলমগীর হোসেন

মেহেদি হাসান

মেহেদি হাসান

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার জনবান্ধব উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আলমগীর হোসেন বিদায় নিচ্ছেন। সদর উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, আগামী দু-একদিনের মধ্যেই তিনি আগামী কর্মস্থল গোদাগাড়ী উপজেলায় যোগদান করবেন।
 ২০১৭ সালের ৩ অক্টোবর চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদান করে বিগত দিনগুলোতে বিভিন্ন সময়োপযোগী কার্যক্রমের ফলে পাল্টে গেছে উপজেলার সার্বিক চিত্র।
উপজেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতে নজর রাখা, প্রতিটি অফিসে সেবার মান বৃদ্ধি এবং ভোগান্তি কমানো, প্রকৃত কৃষকের মাঝে উপকরন বিতরন, বৃক্ষরোপণ অভিযান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মিড ডে মিল চালু, প্রকৃত হতদরিদ্রের কাছে সেবা পৌঁছে দেওয়া, প্রতি সপ্তাহে ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা, হাট বাজারগুলো আধুনিক করা, স্থানীয় সরকার বিভাগের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বজায় রাখা, প্রকৃত ভূমিহীনদের মাঝে খাস জমি বন্টন, ভিক্ষুকমুক্ত করণে ডাটাবেজ তৈরী, গৃহহীনদের ঘর নির্মাণে উদ্যোগ গ্রহন, সর্বপরি রাস্তা ঘাট ব্রিজ কালভার্ট এর ছোয়া লাগেনী এমন কোন অঞ্চল নাই । ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের পূর্বের চিত্র পরিবর্তন করে নতুন সাজে রুপান্তিত করেন। ভুমি সেবাকে সহযোগীকরন করেন।
এবং বাল্য বিবাহের হার প্রায় শুন্যতে আনেন প্রভূতি কাজের জন্য পাল্টে গেছে পুরো উপজেলার চিত্র।

বিশেষ করে আদিবাসী ও প্রতিবন্ধীদের নিয়ে বিভিন্ন প্রশংসনীয় কাজ করেছেন। মাদক প্রতিরোধে তাঁর ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়, তিনি নিজে উপস্থিত থেকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ হলেও সরকারিি বিভিন্ন আদেশে অভিযান পরিচালনা করছেন।

প্রাথমিক শিক্ষায় বিশেষ অবদান রাখায় অর্জন করেছেন বিভাগীয় শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি। 

সাম্প্রতিককালে মরণব্যাধি করোনা ভাইরাস রোধে মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে কাজ করেছেন কখনও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ, কখনো প্রতিরোধে প্রচারণা, কখনো আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাসায় থাকার জন্য হোম কোয়ারেন্টেইন দেখা শুনা করা, রোগীদের নিয়মিত খোঁজ রাখা, রোগীর বাসায় গিয়ে খাদ্য সামগ্রী প্রদান, বিভিন্ন ইউনিয়নে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ দেখভাল কাজ করায় সদর উপজেলা বাসীর হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ চত্বর কে তিনি নিজের মনের মাধুরী মিসিয়ে দর্শনীয় স্থানে পরিনত করেন। যা দর্শন না করলে বুঝা যায়না । উপজেলা পরিষদ চত্বরে দীর্ঘদিনের জন্য পড়ে থাকা পুকুর সংস্কার ও করেছেন নিজ উদ্যোগে।
উপজেলার কয়েকজন সচেতন লোকের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাঁর ফলেই অফিসগুলোতে অনিয়ম-দুর্নীতি ও ভোগান্তি কমেছে এবং প্রতিটি প্রতিষ্ঠানগুলোতে সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে।
ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় জনগনের দ্বারগোড়ায় সেবা প্রদান কারী হিসেবে জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও হন।
যা না বললে নয় তিনি যে সৎ, যোগ্য, কর্মঠ দক্ষতার বলিয়ান তা উপজেলা পরিষদ চত্বরে একবার গেলে বুঝা যাবে ।


এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, আমি প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছি, যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি আমার উপর সরকারের অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার। মানুষ তার কর্মের মধ্যে দিয়ে চিরজীবন বেঁচে থাকে, আমিও আমার কর্ম দিয়ে আপনাদের মাঝে বেঁচে থাকতে চাই। সকল কাজে সদর বাসীর সহযোগিতা ও সমর্থন ছিল আমার মূল প্রেরণা। সুন্দর ভাবে সাধারন জনগনকে সেবা প্রদানে নিশ্চিত করতে পেরেছি এজন্য আমি নিজেকে ধন্যমনে করি। তিনি আবেগ-আপ্লুত কন্ঠে আরো বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলাবাসীর কথা আজীবন মনে থাকবে, এখানাকার মানুষের ব্যবহারে সত্যিই মুগ্ধ । সদরবাসীর জন্য শুভ কামনা রইল।

মন্তব্য সমুহ
০ টি মন্তব্য
মন্তব্য করতে লগইন করুন অথবা নিবন্ধন করুন
এই শ্রেনির আরো সংবাদ

ফিচার নিউজ