আজ সোমবার, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫শে নভেম্বর ২০২৪

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পরিবহন খাতের ৪ হাজার নিম্ন আয়ের শ্রমিক বেকার-সহযোগিতায় সমন্বিত উদ্যোগ নিতে তৎপর নেই শ্রমিক নেতারা

মেহেদি হাসান

মেহেদি হাসান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
বিশ্বজুড়ে মহামারি আকার ধারণ করা করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে অবরুদ্ধ গোটা দেশ। সাধারণ ছুটি ঘোষণার পাশাপাশি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পরিবহন খাতও। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের পরিবহন খাতের প্রায় ৪ হাজার নিম্ন আয়ের শ্রমিক। এরা কেউ বাস, ট্রাক,ক্যাভার্ড ভ্যান, থ্রি-হুইলার,ইজিবাইক চালক। বেশ কিছুদিন থেকে পরিবহন খাত বন্ধ থাকায় বেকার হওয়া নিম্ন আয়ের শ্রমিকেরা পরিবার চালাতে হিমসিম খাচ্ছে। এসব শ্রমিকদের সহযোগিতায় কোনো সমন্বিত উদ্যোগ নিতে তৎপর নেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ট্রাক,ট্যাংকলড়ি ও ক্যাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন। এর ফলে শ্রমিক ভবনে এসে আবেদন নিবেদন এমনকি বিক্ষোভ ও করেছেন। মঙ্গলবার সকালে শ্রমিক ইউনিয়নের সামনে এসে তারা আর্থিক সহায়তা বা খাদ্য সামগ্রী নেওয়ার জন্য বিক্ষোভ করলে জেলা ট্রাক,ট্যাংকলড়ি ও ক্যাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সাইদুর রহমান তাদের কথা শুনে তাদের আবেদন গ্রহণ করে নির্বাহী কমিটি বসে তা ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দিলেও তারা বিক্ষোভ বন্ধ করেন।

 

পরিবহন শ্রমিকদের দাবি বর্তমান কমিটির নেতারা গত ২৫ জানুয়ারি সাধারণ সভায় বিগত দিনের আয় ব্যয় করার পরও তাদের ইউনিয়নের নিজস্ব ফাণ্ডে ৫০ লক্ষাধিক টাকা জমা রয়েছে বলে জানান। সেসব জমাকৃত টাকা থেকে দেশের এ দুঃসময়ে শ্রমিকদের মধ্যে আর্থিক সহায়তা দিয়ে তাদের পাশে দাড়ানোর আহবান জানান। এ বিষয়ে ভাল সিধান্ত না পেলে আগামী সপ্তাহে আবারো বিক্ষোভ করবে বলে জানান।


এ বিষয়ে জেলা ট্রাক,ট্যাংকলড়ি ও ক্যাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সাইদুর রহমানের সাথে কথা বলা হলে তিনি জানান, গত ২৫ জানুয়ারি সাধারণ সভায় বিগত দিনের আয় ব্যয় করার পরও তাদের ইউনিয়নের নিজস্ব ফা-ে ৫০ লক্ষাধিক টাকা জমা রয়েছে এবং মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) শ্রমিকদের বিক্ষোভ বা আর্থিক অনুদান চাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে নির্বাহী কমিটির সভা আহবান করার কথা জানান।


শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম আনার জানান, শ্রমিকেরা আমার সাথে এ ব্যাপারে কেউ যোগাযোগ করেনি। সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেকের কিছু লোক এসে শ্রমিক ভবনের সামনে এসে বিক্ষোভ করেছে। সাধারণ সভার পর অবশিষ্ট টাকা অনেকাংশে খরচ হয়েছে শ্রমিকদের সভায় উপস্থিতির যাওয়া আসার খরচ বাবদসহ বিভিন্ন খাতে, আর শ্রমিকের সবসময় যা চাইবে তাৎক্ষনিক তা করা সম্ভব নয়। এসময় শ্রমিকদের জন্য কিছু করা সম্ভাব নয় তারপরও কার্যনির্বাহী পরিষদ নিয়ে বসে আলোচনা করে দেখা হবে।

মন্তব্য সমুহ
০ টি মন্তব্য
মন্তব্য করতে লগইন করুন অথবা নিবন্ধন করুন
এই শ্রেনির আরো সংবাদ

ফিচার নিউজ