আজ বৃহঃস্পতিবার, ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১শে নভেম্বর ২০২৪

সংরক্ষণের অভাবে বিলিন হচ্ছে রহনপুরে অবস্থিত ঐতিহাসিক নওদা বুরুজ (ষাড় বুরুজ)

News Desk

নওদা বুরুজ : চাঁপাইনবাবগঞ্জে যে কয়টি ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুরে অবস্থিত নওদা বুরুজ (ষাড় বুরুজ) তার একটি।লোকমুখে প্রচলিত আছে এটি একসময় রাজা লক্ষণ সেনের বাড়ী ছিলো। রক্ষণাবেক্ষনের অভাবে ইতিমধ্যে এর অধিকাংশ এলাকা বেদখল হয়ে গেছে। এমনকি এই স্থাপনার মুল ডিবি কেটেও তৈরি হতে শুরু করেছে ঘর-বাড়ী। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের একটি মাত্র সাইনবোর্ড থাকলেও এটি রক্ষণাবেক্ষনের আর কোন উদ্যোগ দেখা যায়না।

রহনপুর-আড্ডা রোডে কিছুদুর গিয়ে বাম দিকে তাকালে একটি সুউচ্চ ঢিবি সাদৃশ্য চোখে পড়ে। এটির নাম নওদা বুরুজ হলেও স্থানীয়দের কাছে এটি ষাঢ় বুরুজ নামে পরিচিত। বিতর্ক থাকলেও লোক মুখে প্রচলিত আছে, এই নওদা বুরুজ এক সময় রাজা লক্ষণ সেনের বাড়ী ছিলো যা পরবর্তিতে ভেঙ্গে গিয়ে ঢিবিতে রুপান্তরিত হয়। তবে এটি খনন না হওয়ায় আজো অমিমাংসিত রয়ে গেছে এর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট।

এছাড়াও এর ১কিলোমিটার দক্ষিনে আরা একটি স্থাপনা রয়েছে যার সাথে একটি রাস্তা সংযুক্ত ছিলো বলে জানান স্থানীয়রা। একসময় ঢিবির উত্তর পার্শে একটি লোহার দরজা দেখা যেত যা পরবর্তিতে মাটি চাপা পড়ে ঢেকে গেছে। আর কর্তৃপক্ষের কোন দেখভাল না থাকায় এর আশে পাশের জমিগুলোও বেদখল হয়ে যাচ্ছে দিন দিন। রীতিমত এখানে বসবাসকারীদের রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের হোল্ডিংসহ বিদ্যুৎ সংযোগও।

ম্যধ্যযুগীয় বাংলায় সেন বংশের চতুর্থ রাজা ছিলেন লক্ষণ সেন। ১২০৬ খ্রিষ্টাব্দে বখতিয়ার খলজীর কাছে পরাজিত হয়ে নদীয়া থেকে বিক্রমপুর পলায়ন করেন তিনি। তবে এই নদীয়ার অবস্থান আজো ইতিহাসের পাতায় অমিমাংসিত। এই নওদা বারুজ সেই বিতর্ককে কিছুটা বাড়িয়ে তুলে। এর সঠিক ইতিহাস জানার পাশাপাশি এটি একটি দর্শনিয় স্থানেও পরিনত হতে পারে।


মন্তব্য সমুহ
০ টি মন্তব্য
মন্তব্য করতে লগইন করুন অথবা নিবন্ধন করুন
এই শ্রেনির আরো সংবাদ

ফিচার নিউজ