শিল্প ভাস্কর্যের অন্যতম এক নিদর্শন ঐতিহাসিক সোনামসজিদ
- ২৭শে মে ২০২০ সকাল ০৬:২৫:২৮
- ইতিহাস-ঐতিহ্য
News Desk
এম.এ.মাহবুব : অনন্য গঠন শৈলী আর অপরূপ কারুকর্য খচিত শিল্প ভাস্কর্যের অন্যতম এক নিদর্শনের নাম ঐতিহাসিক ছোট সোনামসাজ। ঐতিহাসিক সোনামসজিদ নামেই এটি বেশি পরিচিত। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত এই মসজিদটি সুলতানী সাশনামলের ঐতিহাসিক স্থাপত্যগুলোর মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশের প্রস্তর শিল্পের অনন্য নিদর্শন ধরা হয় এই মসজিদটিকে।
সুলতান আলাউদ্দীন হোসেন শাহের আমলে ১৪৯৩ থেকে ১৫১৯ সালের মধ্যেবর্তী কোন একসময় মসজিদটি নির্মিত হয়। জনৈক আলীর পুত্র ওয়ালী মুহম্মদ এই মসজিদটি নির্মান করেন। মসজিদের মাঝের দরজার উপরের শিলালিপি থেকে এই তথ্য জানা যায়। তবে শিলালিপির তারিখের অংশটুকু না থাকায় নির্মাণকাল জানা যায়নি।
জেলার পশ্চিম সীমান্তে শিবগঞ্জ উপজেলার ফিরোজপুর মৌজায় অবস্থিত এই মসজিদটির দূরুত্ব জেলা শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার।
দৃষ্টি নন্দন এই স্থাপত্যের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে মোট ১৫টি গম্বুজের মাঝের ৩টি গম্বুজ দেশের প্রচলিত চৌচালার মতকরে বানানো। মসজিদের ভেতরে ৮টি স্তম্ভ ও চারপাশের দেয়ালের উপর গম্বুজগুলো তেরি। দেওয়ালের গয়ে কালো পাথরের উপর সুনিপুন হাতে খোদায় করে তৈরী শীলালিপি এর আকর্ষণকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। উত্তর-দক্ষিণে এর দৈর্ঘ্য ৮২ফুট ও পূর্ব-পশ্চিমে প্রস্থ ৫২.৫ফুট। মসজিদের দেয়ালগুলো প্রায় ৬ফুট পুরু। মসজিদের চার কোনে চারটি অষ্টকোণাকার স্তম্ভ রয়েছে যা ছাদের কার্নিশ পর্যন্ত উচু।
ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও সৌন্দর্যের কারনে প্রতিদিনই দুরদুরান্ত থেকে এসে মুগ্ধ হয় হাজারও মানুষ।
সূত্র :
১. চাঁপাইনবাবগঞ্জ: ইতিহাস ঐতিহ্য, ড. মাজহারুল ইসলাম তরু।
২. উইকিপিডিয়া।
৩. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন।
০ টি মন্তব্য