ভোলাহাটে প্রতিবন্ধী স্কুলের পাশে এলপিজি অটোগ্যাস/ পেট্রল পাম্প স্থাপন চেষ্টা - শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা
- ৬ই জুন ২০২৩ রাত ১২:১৫:৩০
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর
মেহেদি হাসান
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার কলেজ মোড়ে প্রতিবন্ধী স্কুলের পাশে মেসার্স রুহ আয়রা পেট্রোলিয়াম এন্ড এল পি জি নামে পেট্রোল পাম্প স্থাপনের চেষ্টা করছেন । এটি অনুমোদন পেলে ভোলাহাটের একমাত্র প্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষাদান ব্যাহত হবে বলে মনে করছেন অনেকে। এর আগে গোমস্তাপুর উপজেলার কাশিমপুরের মৃত আলহাজ আব্দুল হামিদের ছেলে সাবেক চেয়ারম্যান আসরাফ হোসেন আলিম জেলা প্রশাসকের মেসার্স হোসনে হামিদ পেট্রোলিয়াম এন্ড এল পি জি" শিরোনামে আবেদন করিয়াছিল অনাপত্তিপত্র নেওয়ার জন্য। এতে ব্যর্থ হলে চলতি বছরের এপ্রিলে মেসার্স রুহ আয়রা পেট্রোলিয়াম এন্ড এল পি জি নামে আবারো আবেদন করেন।
ভোলাহাটে একটি মাত্র প্রতিবন্ধী স্কুল । স্কুলটি স্থাপিত হয় ২০০৯ সালে। তার পাশে জমির একই দাগে পাম্পটি সেখানে স্থাপন হলে পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হবে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর দাবি প্রতিবন্ধী স্কুলের পাশে এলপিজি অটোগ্যাস পাম্প স্থাপন করাটা ভুল হবে। কারণ এলপিজি বাপেট্রোল পাম্প একটি জ্বালানি পদার্থ যেকোন সময় বড় ধরনের বিপদ হতে পারে।
এ বিষয়ে ভোলার প্রতিবন্ধী স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা দিলারা খাতুন জানান প্রতিবন্ধী বাচ্চাদের নিয়ে আমরা কাজ করি একই সীমানায় পেট্রোল পাম্পের মাটি অপরদিকে সরকারি মেডিকেল তাই এই পেট্রোল পাম্প হলে এখানে সব সময় গাড়িঘোড়া চলাচল লেগেই থাকবে। সেই সাথে মেডিকেল এর রোগীদের ও সমস্যা হবে। প্রতিবন্ধী বাচ্চারা বুঝতে পারবে না যে ওখানে কি আছে সাথে গাড়ি ঘোড়া বেশি চলাচল করলে সড়ক দুর্ঘটনা ও ঘটতে পারে। তিনি উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন এর নিকট দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন এর আগেও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তিনি আবেদন করেছেন আবারও দু'একদিনের মধ্যেও জেলা প্রশাসককে এ বিষয়ে আবেদন করবেন। পাশাপাশি উপজেলা নির্বাহী অফিসার যেহেতু ভোলাহাট প্রতিবন্ধী স্কুলের সভাপতি তাকেও বিষয়টি অবহিত করবেন। এজন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ।
পাম্প স্থাপনকারী আসরাফুল ইসলাম জানান, পেট্রোল পাম্পের আবেদন সরকার বন্ধ রেখেছে জেলা প্রশাসকের কাছে তো পেট্রোল পাম্পের আবেদন করতে হয় না। তবে তাকে জেলা প্রশাসককের কাছে অনাপত্তিপত্র বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে পরে কথা বলবেন ব্যস্ত আছেন বলে বলে ফোন কেটে দেন ।
০ টি মন্তব্য