মেহেদি হাসান
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক দুটি মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। ভোলাহাটের সেমালী খাতুন নামে এক নারীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড, সেই সাথে দন্ডিত ২ জনকে ১ লক্ষ টাকা ও ১ জনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার দন্ডিতদের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন। দন্ডিতরা হল- ভোলাহাটের বালুটুঙ্গী গ্রামের মৃত গামজাদের ছেলে জাক্কার(৪২) ও মৃত মিয়ারুদ্দীনের ছেলে মুনসুর আলী(৪৮) এবং মুশরীভুজা গ্রামের আব্দুল কারীমের ছেলে মফিদুল (৩৬)। এদের মধ্যে জাক্কার ও মফিদুলকে ১ লক্ষ এবং মুনসুরকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করে ট্র্ইাবুনাল। নিহত সেমালী ভোলাহাটের ঘাইবাড়ী গ্রামের এন্তাজ আলীর মেয়ে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এনামুল হক বলেন,২০২০ সালের ১৭ আগষ্ট সকালে ভোলাহাটের দলদলি রাঙ্গামাইটা বিলে ঘাস কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হন সেমালী। পরদিন সকালে ওই বিলের ধানক্ষেতের ভেতর একটি আমগাছের নীচে তাঁর মাথা ছাড়া মরদেহ উদ্ধার হয়। মাথা পাওয়া যায় কিছুটা দূরে। এ ঘটনায় ওইদিন নিহতের মেয়ে শারাবনী বেগম ভোলাহাট থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) ও ভোলাহাট থানার পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর ওই ৩ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র জমা করেন।
অপর দিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নাজমুল আজম জানান, ২০২০ সালের ১৫ জুলাই এজাহার নামীয় আসামি আফজাল আত্মগোপনের জন্য গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে শিবগঞ্জের মর্দনা ব্রিজের ওপর অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে পালানোর সময় একটি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও দুই রাউন্ড গুলিসহ আবজালকে আটক করা হয়। ওই দিনই পুলিশের এসআই আতাউর হোসেন বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানার মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুল বারিক তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৩০ জুলাই আফজালকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলার দীর্ঘ শুনানী শেষে আদালতের বিচারক ১৯(এ) ধারায় যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং ১৯ (এফ) ধারায় ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।