মেহেদি হাসান
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক হত্যা ও অস্ত্র মামলায় নাসিম আলী(২০) ও জাহিরুল ইসলাম(৩৭) নামে দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া হত্যা মামলায় নাসিমকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২ বছর কারাদন্ডের আদেশ দেয় আদালত। অন্যদিকে অস্ত্র মামলায় জাহিরুলকে পৃথক আরেকটি ধারায় আরও ৭ বছর কারাদন্ডের আদেশ দেন আদালত। আদেশে উল্লেখ করা হয়,জাহিরুলকে যাবজ্জীবন দন্ড ভোগের পর ধারাবহিকভাবে আরও ৭ বছর দন্ড ভোগ করতে হবে।
রবিবার (৩০জুন) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র দায়রা জজ হিসেবে হত্যা মামলার ও সিনিয়র ষ্পেশাল ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক হিসেবে অস্ত্র মামলার দন্ডাদেশ ঘোষণা করেন মোহা: আদীব আলী। এ সময় দুই আসামীই অনুপস্থিত(পলাতক) ছিলেন। হত্যা মামলায় দন্ডিত নাসিম শিবগঞ্জের তর্তিপুর গ্রামের মো. সেসরুলের ছেলে। হত্যার শিকার জিয়াউর রহমান টকিন একই গ্রামের মানিরুল ইসলামের ছেলে। অস্ত্র মামলায় দন্ডিত জাহিরুল গোমস্তাপুরের চৌডালা নন্দলালপুর গ্রামের সাদিকুল ইসলামের ছেলে।
রাষ্টপক্ষের আইনজীবী নাজমুল আজম হত্যা মামলার ব্যাপারে বলেন, ২০১৭ সালের ৮ সেপ্টেম্বর মোবাইল কেড়ে নেবার জন্য বাড়ির কাছে টকিনকে পিটিয়ে হত্যা করে নাসিম। এ ঘটনায় পরদিন শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেন টকিনের পিতা। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবু আবদুল্লাহ জাহিদ ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর অভিযোগপত্র জমা করেন।
অস্ত্র মামলার ব্যাপারে রাষ্টপক্ষের আইনজীবী জানান, ২০২২ সালের ৩১ মে র্যাবের হাতে ২টি পিস্তল, ২টি ম্যাগজিন ও ৬ রাউন্ড গুলিসহ গোমস্তাপুরের সড়গ্রাম বালিকা বিদ্যালয় এলাকা থেকে জাহিরুল গ্রেপ্তার হয়। এ ঘটনায় পরদিন গোমস্তাপুর থানায় র্যাবের উপ-পরিদর্শক আকরামুল হক মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গোমস্তাপুর থানার ওসি দিলীপ কুমার দাস ২০২২ সালের ৩০ জুন মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন।