মেহেদি হাসান
এবছর সমাজসেবায় বিশেষ অবদান রাখায় একুশে পদকপ্রাপ্ত জিয়াউল হকের পাঠাগারের জন্য বিভিন্ন ধর্মীয় বই ও ইসলামিক গ্রন্থ উপহার দিয়েছে ইসলামিক ফাউণ্ডেশন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কার্যালয়। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁন জিয়াউল হকের হাতে ৫০ হাজার টাকা মূল্যের এসব বই তুলে দেন।
একুশে পদকপ্রাপ্ত জিয়াউল হকের সেই পাঠাগারে বই উপহার দিয়েছে ইসলামিক ফাউণ্ডেশন। ৫০ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন সহীহ হাদিস, ইসলামিক গ্রন্থ ও বই দেয়া হয় জিয়াউল হককে। ২০ হাজারের বেশি বই সমৃদ্ধ পাঠাগারে আরও বই উপহার পেয়ে খুশি জিয়াউল হক।
এসময় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার হাতে একুশে পদক তুলে দেয়ার পর আমাকে স্থায়ীভাবে ও বড় পরিসরে পাঠাগার নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ও দেশের মানুষের যে ভলোবাসা ও উপহার পেয়েছি, তাতে জীবিত অবস্থায় আমার পাঠাগার নির্মাণ না দেখে যেতে পারলেও আর কোন আফসোস নাই। ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের পক্ষ থেকে এসব বই পেয়ে আরও সমৃদ্ধ হবে আমার পাঠাগার।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁন বলেন, জিয়াউল হকের মতো মানুষ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন। তার সামাজিক ও মানবিক কাজে তার পাশে রয়েছে জেলা প্রশাসন। ইসলামিক ফাউণ্ডেশন ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জিয়াউল হকের পাঠাগারে প্রত্যেক বছর বই উপহার প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেন জেলা প্রশাসক ও একুশে পদকের প্রস্তাবক একেএম গালিভ খাঁন।
জিয়াউল হককে বই উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের উপ-পরিচালক মো. আশরাফুজ্জামান, জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
‘বেচি দই, কিনি বই’ স্লোগানের রূপকার সাদা মনের মানুষ হিসেবে পরিচিত জিয়াউল হক শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে গড়ে তুলেছেন পাঠাগার। যেখানে গ্রামের অসহায় দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা বই নিয়ে পড়াশোনা করছে। পাঠাগার তৈরির পাশাপাশি দই বিক্রির টাকা থেকেই ব্যাপকভাবে সমাজসেবায় জড়িয়ে পড়েন। ঘরবাড়ি নির্মাণ থেকে শুরু করে এলাকার খাবার পানি সংকট নিরসনে টিউবওয়েলও স্থাপন করে দেন। চরম দরিদ্রতাকে জয় করে পথচলা জিয়াউল হক সমাজসেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য জিয়াউল হক পেয়েছেন একুশে পদক।
প্রসঙ্গত, গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জিয়াউল হককে একুশে পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।