মেহেদি হাসান
ক্যাডার- বৈষম্য ও পদোন্নতি-সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানসহ বিভিন্ন দাবিতে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি (১০ অক্টোবর) থেকে তিন দিনের টানা ‘সর্বাত্মক কর্মবিরতি’ পালন করছে। সারাদেশের বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের এ দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে কর্মবিরতি পালন করছেন নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষকরাও।
সোমবার (১০ অক্টোবর) সকালে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের গেটে অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মাযহারুল ইসলাম তরুসহ সকল শিক্ষকরা এ ‘সর্বাত্মক কর্মবিরতি’ পালন করেন। শিক্ষকরা জানান, ‘‘আমাদের এই যে তিনদিনের ‘সর্বাত্মক কর্মবিরতি’, আমরা আশা রাখি যে আমাদের দাবীর বাস্তবায়ন হবে এবং এই ক্যাডার বৈষম্য দূর হবে।’’ বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির অন্যান্য যে দাবি আছে সেগুলোর বিষয়েও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অতিদ্রæত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে, সারা দেশে ‘সর্বাত্মক কর্মবিরতি’ কারণে সরকারি কলেজ, সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা, সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি), শিক্ষা বোর্ডসহ শিক্ষাসংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো তাদের নির্ধারিত কর্মসূচিগুলো পিছিয়ে দিয়েছে। পরীক্ষাও পেছানো হয়েছে। দপ্তরগুলোয় কোনো ফাইলে সই করছেন না শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা।
একই দাবিতে গত ২ অক্টোবর একদিনের কর্মবিরতি পালন করেছিলেন শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে দাবি তুলে ধরার পাশাপাশি কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখা। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, পদোন্নতি- বৈষম্য কমাতে সব ক্যাডারে সুপারনিউমারারি পদ (নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সংখ্যার চেয়ে অতিরিক্ত পদ) সৃষ্টি করে পদোন্নতি দেওয়া, অধ্যাপকদের বেতন গ্রেড তৃতীয় ধাপে উন্নীত করা ও অর্জিত ছুটির সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা থাকলেও তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না। শিক্ষা ক্যাডারের তফসিলভুক্ত পদ ‘দখলের মানসে’ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার জন্য পৃথক নিয়োগ বিধিমালা করা হয়েছে। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির অভিযোগ, পদোন্নতিতে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় রয়েছে শিক্ষা ক্যাডার।