এমপিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি প্রদান

মেহেদি হাসান

চাঁপাইনবাবগঞ্জে এমপিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের জন্য জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ। বুধববার (১৯ জুলাই) সকালে জেলা প্রশাসকের অফিসে গিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। 

স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক ড. এমরান হোসেন, জেলা কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আতিকুল ইসলাম, শাহনেয়ামতুল্লাহ কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ শরিফুল আলম, ক্রীড়া সম্পাদক রুবেল ইফতেখারুল হক, দেলশাদ তাহমিনা, নবাবগঞ্জ মহিলা ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহিল কাফিসহ অন্যান্য শিক্ষকগণ।  

স্মারকলিপিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ জানান, ১৯৭৩ সালের ৭৩ দিনের শিক্ষক আন্দোলনের সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সরকার মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেটে ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেন। এমপিও ভুক্ত মাধ্যমিক শিক্ষকদের বেতন ৫০/-টাকা থেকে ৭৫/- টাকায় উন্নীত করেন এবং উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষকদের বেতন ১৫০/-টাকায় উন্নীতকরণসহ রেশনিং ব্যবস্থা চালু করেন ।

বঙ্গবন্ধু তখন বলেছিলেন আগামী কিছুদিনের মধ্যে আমি মাধ্যমিক (মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক) শিক্ষা জাতীয়করণ করে দিবো। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এ পর্যন্ত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জাতীয়করণের দাবী পুরণ হয়নি। এমপিওভুক্ত শিক্ষাকে বর্তমানে জাতীয়করণ করতে দরকার ২৫% উৎসব ভাতাকে শতভাগে উন্নীতকরণ,জাতীয় বেতন স্কেলভিত্তিক ৪৫-৫০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া প্রদান এবং ৫০০/-মাসিক চিকিৎসা ভাতাকে ১৫০০/-টাকায় উন্নীতকর। এটা করতে খাতগুলোতে সরকারের বার্ষিক অতিরিক্ত টাকা লাগবে সর্বোচ্চ ২ (দুই) হাজার কোটি টাকা। এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয় সরকারী কোষাগারে জমা নিলে প্রতি অর্থ বছরে আয় হবে প্রায় ২৬ (ছাব্বিশ) হাজার কোটি টাকা। ফলে বছরে বেতন খাতে জাতীয়করণ করা শিক্ষক কর্মচারীদের জন্য কোন অতিরিক্ত অর্থ সরকারকে দিতে হবেনা, বরং সরকারী কোষাগারে বাড়তি কিছু পরিমান টাকা জমা হবে।


কপিরাইট © চাঁপাই নিউজ ডট কম ২০২৪ । সর্বসত্ব সংরক্ষিত।