মেহেদি হাসান
চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা শহরের কোমলমতি শিশুদের বিনোদনের খোরাক মেটাতে অবশেষে ৩ মে ২০২৩ থেকে চালু হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসনের ‘কালেক্টরেট শিশু পার্ক। তবে জেলা প্রশাসনের তত্বাবধানে গড়ে তুলা এ সুন্দর পার্কটিতে প্রবেশ করতে কোন প্রবেশ ফি বা টিকিট লাগবেনা। সর্ব সাধারনের জন্য উন্মুক্ত এ পার্কটিতে প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এখানে শিশুদের নিয়ে ঘুরে বেড়ানো যাবে।
জানা যায়, জেলা প্রশাসনের কর্তৃত্বাধীন ক্যালেক্টরেট শিশু পার্কটি দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। সম্প্রতি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁনের নির্দেশে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা এ পার্কটির নতুন আঙ্গিকে সংস্কার করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। অবশেষে সেই শিশুপার্কটি পূর্ণাঙ্গ শিশু পার্ক হিসেবে চালু হতে যাচ্ছে ৩ মে। এ শিশুপার্কটি উদ্বোধন হয়ে গেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিশুরাসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষজন এখানে ছুটিরদিনসহ অবসর সময়ে এখানে এসে ঘুরে যাবেন।
পার্ক টি সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পার্কের মধ্যবর্তী স্থানে একটি সুন্দর বড় ঝরণা, একদিকের প্রবেশ মুখে স্টাচু অব লির্বার্টি, গরিলা, ড্রাগন, ডায়নাসর, বড় হাতি ছোট হাতি, আমের প্রতিকৃতি, অন্যদিকের প্রবেশ মুখে বিভিন্ন ধরনের পাখি, এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় বাঘ, জিরাপ, ঘোড়া, হরিন, পঙ্খিরাজ, ক্যাঙ্গারু, মটু-পাতলু, মিকি, খরগোস, ময়ূর, স্পিং, দোলনা, সাইকেল, হাঁস, দোয়েল, কবুতরসহ আরো অংসখ্য প্রাণির প্রতিকৃতি স্থাপন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে সব খেলার ও বসার সামগ্রী। এই পার্কটি চালুর পর শিশুরা এখানে এসে সেইসব প্রাণিদের সম্পর্কে জানতে পারবে, তাদের মানসিক বিকাশও ঘটবে। পার্কের যেকোন একদিকে একটি ক্যান্টিন ও দোকান করা হবে। যাতে বিনোদন প্রেমীরা পার্কে ঘুরতে এসে হালকা খাবারও খেতে পারে।
ক্যালেক্টরেট শিশু পার্কটির বিষয়ে জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন বলেন, জেলা প্রশাসনের ১ একর ৭০ শতক জায়গা নিয়ে এ পার্ক। দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় সেখানে কেউ যাতাযাত করতো না। এছাড়াও এ অঞ্চলে শিশুদের জন্য ভালো কোন পার্ক না থাকায় আমরা এ ক্যালেক্টরেট পার্কটি শিশুদের উপযোগী করার সিদ্ধান্ত নেই। আমরা সুস্থ মানুষের জন্য ওয়ার্কওয়ে, শিশুদের জন্য বিভিন্ন ধরনের রাইড, খেলনা দিয়ে সাজানোর চেষ্টা করছি। আশেপাশের বিভিন্ন স্কুলের শিশু শিক্ষার্থীরা এখানে ঘরতে আসবে। আমরা চাই এ পার্কটি এ জেলার মানুষের বিকেল বেলার সুস্থ বিনোদন পার্ক হোক।