মেহেদি হাসান
জেলা আইনজীবী সমিতির শতবর্ষ পূর্তি উদযাপিত হয়েছে। শনিবার (২৮ জানুয়ারি) জেলা আইনজীবী সমিতি বর্ণাঢ্য কর্মসূচির আয়োজন করে। সকাল সাড়ে ১১ টায় জেলা আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গনে অুনষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন, প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এবং সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বাংলাদেশ আইন কমিশনের সদস্য বিচারপতি এ.টি.এম. ফজলে কবীর বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বিচারক ও আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিচার বিভাগ মহান সংবিধানের শেষ রক্ষা কবজ। আপনারা সেই বিচার বিভাগেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমি সবসময় বলি বার ও বেঞ্চ পরস্পরের পরিপূরক। বার না থাকলে বিচার হবে না, আবার বেঞ্চ না থাকলেও বিচার হবে না। কাজেই পরস্পরের প্রতি সহনশীলতা ও সম্মান দেখানো জরুরি। কারণ, আপনাদের মধ্যে শ্রদ্ধা ও সহযোগিতার মনোভাব না থাকলে বিচার ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, বিচার প্রার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তিনি বলেন স্বল্প সময়ে স্বল্প খরচে বিচারপ্রার্থী সাধারণ মানুষ যেন ন্যায় বিচার পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বিচার বিভাগকে এগিয়ে নিতে হবে।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাভোকেট জবদুল হকের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, জেলা ও দায়রা জজ মোহা. আদীব আলী, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার, বার কাউন্সিলের অর্থ কমিটির চেয়ারম্যান রবিউল আলম বুদু, অ্যাডভোকেট শাহজাহান বিশ্বাস, জেলা আইনজীবী সমিতির সেক্রেটারি জেনারেল মাহমুদুল ইসলাম কনক। এসময় জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন, পুলিশ সুপার এএইচএম আবদুর রকিব উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রধান বিচারপতি আদালত প্রাঙ্গনে আম গাছের চারা রোপণ করেন এবং আদালত প্রাঙ্গনে আগত বিচারপ্রার্থীদের জন্য বিশ্রামাগার “ন্যায়কুঞ্জ”এর ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করেন।
এর আগে সকাল ১০টায় জেলা আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। বিকেল সাড়ে ৩টায় আইনজীবীরা স্মৃতিচারণ করবেন। শেষে ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।