মেহেদি হাসান
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার নাচোল সদর ইউনিয়ন ও কসবা ইউনিয়নের আশ্রয়ন প্রকল্পের ৪র্থ পর্যায়ের ৮০টি বাড়ি নির্মাণের অগ্রগতি পরিদর্শন করলেন জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁন। শনিবার ৩১ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁন উপজেলা পরিষদে পৌঁছলে তাঁকে ফুলেল তোড়া দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাইমেনা শারমীন বরণ করেন।
আশ্রয়ন প্রকল্প পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন, উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার দেবেন্দ্রনাথ ওরাঁও, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব আনিছুর রহমান, নাচোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাইমেনা শারমীন, নাচোল পৌর মেয়র আব্দুর রশিদ ঝালু, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মিথিলা দাস, রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর আশিকুর রহমান, সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন, মীর আল মুনসুর শোয়াইব ও তানজিনা শারমিন দৃষ্টি, ভাইস চেয়ারম্যান জান্নাতুন নাঈম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মৌওদুদ খান, সদর ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম ও কসবা ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম জাকারিয়া মেহরাব।
জেলা প্রশাসক নাচোল সদর ইউপির গোপালপুর পাখির অভয়ারণ্য ও আশ্রয়ন প্রকল্পের নির্মাণাধীন বাড়ি পরিদর্শন শেষে কসবা ইউপির কলিহার গ্রামের হাতি ডোবা আশ্রয়ন প্রকল্পের নির্মাণাধীন বাড়ি পরিদর্শন করেন এবং সুবিধাবীভোগীদের সাথে কথা বলেন। জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁন বলেন, আশ্রয়ন প্রকল্পের ৪র্থ পর্যায়ের ৮০টি বাড়ি নাচোল উপজেলায় নির্মাণের অগ্রগতি এবং এ প্রকল্পটি সুন্দরভাবে বাস্তবায়নের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এতে যাদের ঘর বাড়ি নেই তারা এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হবেন। কাজের মান নিয়ে কোন অভিযোগ ওঠেনি।পর্যায়ক্রমে আশ্রয়ন প্রকল্পের সমস্ত ঘর পরিদর্শন করেছি।
এ গুলো সবাইকে নিয়ে ভালোভাবে আমরা কাজ করব। ভূমিহীন ও গৃহীন পরিবারের জন্য নির্মিত ও নির্মানাধীন গৃহসমূহের গুণগত মান ঠিক আছে কিনা তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার জন্য আশ্রয়ন প্রকল্প পরিদর্শন কালে জেলা প্রশাসক বলেন, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনার মহামারীর মধ্যে জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা, উপজেলা পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে সমন্বয়ে সাধন করে গৃহ নির্মাণ কার্যক্রমকে বাস্তবায়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন।
আশ্রয়ন প্রকল্পের বাড়িতে বসবাস করা অসহায়দের সঙ্গে কথা বলেন এবং নির্মানাধীন বাড়িগুলোর নির্মাণ সামগ্রির গুণগত মান সম্পর্কে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন। সুবিধাভোগীরা জেলা প্রশাসককে সামনে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। পরিশেষে পরিষদ চত্বরে প্রধানমন্ত্রী থেকে পাওয়া শীত বস্ত্র কম্বল অসহায় দুস্থ শীতার্ত আদিবাসীদের মাঝে বিতরণ করে।