মেহেদি হাসান
চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা প্রশাসন ও জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর আয়োজনে সাক্ষরতা দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন।
জেলা প্রশাসক বলেন, ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু যেমন দেশের এবং মানুষের প্রতি তাঁর আত্মিক ভালোবাসা থেকে দেশের মানুষের মুক্তির লক্ষে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, ঠিক তেমনি আগামীর একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদেরও সেভাবে নিরক্ষরতার বিরুদ্ধে লড়তে হবে। আমাদের ভালোবাসা এবং দেশপ্রেম দিয়ে আমাদের সন্তানদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য অংশীযোদ্ধাদের এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের সকল সেক্টরকে এগিয়ে নিতে বঙ্গবন্ধু কাজ শুরু করেছিলেন, অগ্রগতিও অর্জন করেন। তার মধ্যে শিক্ষা অন্যতম। বর্তমানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে প্রণোদনা দিচ্ছেন এবং মানসম্মত শিক্ষার জন্য তিনি সবকিছু করছেন। জেলা প্রশাসক বলেন আমরা এখন একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজের দিকে এগোচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, বিদ্যালয়গুলোর সমস্যা চিহ্নিত করে শিক্ষক এবং অভিভাবকসহ সকলে মিলে আত্মিকভাবে তার সমাধানের জন্য এগিয়ে আসতে হবে। দারিদ্র্য, শিশুপাচার, নদী ভাঙনসহ সাক্ষরতার অন্তরায়গুলো নিরসনে সরকার আন্তরিকভাবে সচেষ্ট আছে। তিনি বলেন আমরা বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করে শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধ করতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। সরকারের মসজিদ ও মন্দিরভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম এবং বিভিন্ন এনজিও সাক্ষরতা ও ঝরে পড়া শিশুদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। শতভাগ সাক্ষরতা অর্জনে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে আরো আলোচনা করেন নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. শংকর কুমার কুন্ডু, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মনোয়ারা খাতুন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেবেন্দ্র নাথ উরাঁও, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ, জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুর রশিদ।
সহকারী কমিশনার এস.এম. আশিস মমতাজের সঞ্চালনায় সাক্ষরতা দিবসের আলোচনা সভায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান, এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।