জেলা প্রশাসক গালিব খাঁনের মহানুভবতায় ফেলে যাওয়া সেই বৃদ্ধার চিকিৎসা শুরু

মেহেদি হাসান

জেলা প্রশাসকের মহানুভবতায় আশি বছর বয়সী মর্জিনা বেগম (টুনি বেওয়া)’র চিকিৎসা শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের ২জন চিকিৎসক সোমবার জেলাশহরের বালিগ্রামে মেয়ে নাসিমার বাড়িতে থাকা বৃদ্ধা মর্জিনা বেগমকে চিকিৎসা প্রদান। সঙ্গে ১ জন নার্সও ছিলেন।

সিভিল সার্জন ডা. এস এম মাহমুদুর রশিদ জানান, জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন মহোদয় ওই বৃদ্ধা মাকে চিকিৎসার জন্য আমাকে বলার পর সোমবার ডা. নাহিদ ইসলাম মুন ও ডা. মাসুম সাহেবের সমন্বয়ে গঠিত একটি মেডিকেল টিম ঘটনাস্থলৈ গিয়ে চিকিৎসা প্রদান করেন। তিনি জানান, গত ৪ বছর আগে ওই বৃদ্ধা স্ট্রোক করে প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হন। তার দেহের এক অংশ অবস হয়ে গেছে, ফলে তিনি হাঁটাচলা করতে পারেন না। এর মধ্যে বতর্মানে ঠা-া ও জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন।

মেডিকেল টিমে থাকা ডা. নাহিদ ইসলাম মুন বলেন-তিনজনের একটি মেডিকেল টিম আজ সকালে মর্জিনা বেগমের মেয়ের বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসাসহ ওষুধ প্রদান করা হয়েছে।

উল্লেখ্য,গত শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চক্ষু হাসপাতাল সংলগ্ন বালিগ্রাম এলাকায় খাটলিতে শুইয়ে আশি বছর বয়সী বৃদ্ধা মর্জিনা বেগমকে রাস্তার ধারে ফেলে যান তার সন্তান। এর পর দৈনিক গৌড় বাংলা ওই বৃদ্ধার করুণদশা নিয়ে একটি সচিত্র সংবাদ প্রকাশ করে। এরপর গত শনিবার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জাকিউল ইসলাম তাকে দেখতে গিয়ে জানান, জেলা প্রশাসন তার দায়িত্বভার গ্রহণ করবে। এরপর জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন গত রবিবার সকাল ১০টায় ওই মর্জিনা বেগমদে দেখতে যান এবং তার পাশে কিছুক্ষণ বসে মাথায় হাত বুলিয়ে দেন। এছাড়া বৃদ্ধার জন্য নিয়ে যাওয়া নতুন শাড়ি, ফলমুল, ওষুধ এবং নগদ অর্থও তুলে দেন তিনি।


 

কপিরাইট © চাঁপাই নিউজ ডট কম ২০২৪ । সর্বসত্ব সংরক্ষিত।