মেহেদি হাসান
চাঁপাইনবাবগঞ্জে খোলা বাজারে খাদ্যশস্য বিক্রয় (ওএমএস) কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পাবলিক ফুড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমের আওতায় এই চাল বিক্রয় করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (০১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় জেলা শহরের নিমতলা এলাকায় ওএমএস কেন্দ্রে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রয়ের মাধ্যমে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক জানান, প্রান্তিক এবং নিম্ন আয়ের মানুষকে কমমূল্যে খাদ্য সহায়তা দেওয়া এবং বাজারদর স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে সরকার ওএমএস কার্যক্রম সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভায় ৬ টি, শিবগঞ্জ পৌরসভায় ৪ টি, রহনপুর পৌরসভায় ৪টি, নাচোল পৌরসভায় ৩ টি ও ভোলাহাট পৌরসভায় ২টিসহ ১৯ টি ওএমএস কেন্দ্রে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রয় করা হচ্ছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ২ মেট্রিক টন চাল বিক্রয় করা হবে। যা আগে ছিল ১ মেট্রিক টন। এছাড়া ভোলাহাট উপজেলাকে এবার নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক জানান, ওএমএস ছাড়াও টিসিবি কার্ডধারী উপকারভোগীরাও প্রতি মাসে দুই বারে ৫ কেজি করে ১০ কেজি চাল ওএমএস কেন্দ্র থেকে সুলভ মূল্যে ক্রয় করতে পারবেন। সরকারের এই উদ্যোগের আওতায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় প্রতিদিন ৭ হাজার ৬০০ জন এবং মাসে প্রায় ১ লাখ ৬৭ হাজার ২০০ জন দরিদ্র জনগোষ্ঠী সরাসরি উপকৃত হবেন।
জেলা প্রশাসক আরো জানান, এ মাসেই জেলাব্যাপী খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ইউনিয়ন পর্যায়ে কার্ডধারী হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে কেজি প্রতি ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হবে। সরকারের এই মহান উদ্যোগের ফলে এ জেলার প্রায় ৬০ হাজার জন প্রান্তিক জনগোষ্ঠী উপকৃত হবেন। এই কর্মসূচিতে জেলা খাদ্য বিভাগ প্রায় ১ হাজার ৮০০ মে.টন চাল কেবল সেপ্টেম্বর মাসেই বিতরণ করবে, যা পরবর্তী মাসেও চলমান থাকবে।
জেলা প্রশাসক বলেন-এছাড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ খাদ্য বিভাগ ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে প্রতি মাসে ৯ হাজার ৫৭৬ জন সুবিধাভোগীর মাঝে ২৮৭ দশমিক ২৮০ মে.টন চাল সরবরাহ করে থাকে।
তিনি জানান, ওএমএস কার্যক্রমে জেলার ১ লাখ ৬৭ হাজার ২০০টি, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৬০ হাজারটি, ভিজিডি কর্মসূচির আওতায় ৯ হাজার ৫৭৬টি, টিসিবি কার্যক্রমের আওতায় ১ লাখ ৩০ হাজার ৩২৩টি পরিবারসহ ভিজিএফ কর্মসূচি, জরুরী সেবা ‘৩৩৩' এর মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা, জেলে সম্প্রদায়ের জন্য মানবিক খাদ্য সহায়তা কর্মসূচিরসহ জেলার প্রায় ১৪ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষভাবে সুবিধা ভোগ করছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জাকিউল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মাহমুদুল হাছান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. পলাশ সরকারসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, ওএমএস ডিলারগণ।