চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও নাচোলে ৩ সার ব্যবসায়ীকে জরিমানা

মেহেদি হাসান

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জুড়ে অতিরিক্ত মূল্য কৃষকের কাছে স্যার বিক্রয় ও অবৈধ মজুদ করার জন্য নিয়মিত তদারকি ও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে । এরই ধারাবাহিকতায় রোববার (২৮ আগস্ট) সদর ও নাচোলে অভিযান পরিচালনা করা হয় ।

সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের আতাহার এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, রাজশাহী কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ফজলে এলাহির নেতৃত্বে রোববার এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে বিক্রয় মেমোতে সার বিক্রয় না করে সরকারি মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে বিক্রয় করায় মেসার্স সদের ট্রেডার্সকে ১০ হাজার টাকা এবং মেসার্স নূরুজ্জামান ট্রেডার্সকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় সদর উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার সলেহ আকরাম ও জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর কোবাদ আলী উপস্থিত ছিলেন। 

উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার সলেহ আকরাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন-অর্থদণ্ডপ্রাপ্তরা সরকারির মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে সার বিক্রয় করছে এমন খবর পেয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। তাদের কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখা যায় ৫০ কেজি ওজনের এক বস্তা পটাশের সরকারি মূল্য ৭৫০ টাকা হলেও তারা প্রায় দ্বিগুন বেশি দামে বিক্রয় করেছেন এবং ৫০ কেজি ওজনের এক বস্তা ডিএপি সারের সরকারি মূল্য ১ হাজার ১শ টাকা হলেও বিক্রয় করেছে ১ হাজার ৩শ টাকায়। কাগজপত্রে প্রমান পাওয়ায় তাদেরকে এই জরিমানা করা হয়। 

অন্যদিকে  নাচোল উপজেলায় ১খুচরা বালাইনাশক সার দোকান মালিককে সার মজুদ ও সরকারি মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রির অভিযোগে ৬ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাইমেনা শারমীন। 

রোববার ২৮ আগস্ট বিকেল ৫ টার দিকে উপজেলা সার মনিটরিং কমিটির সদস্যরা অভিযান চালিয়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে  কসবা ইউপির গোলাবাড়ী বাজারের ওয়াদুদ ট্রেডার্স প্রোঃ নুরুল ইসলামকে ৬ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।

সে সাথে মজুদকৃত ১৫৭ বস্তা ডিএপি এবং ২২ বস্তা ইউরিয়া সার,এমওপি ১৯ বস্তা, টিএসপি ১১বস্তা সরকারি  মূল্যে কৃষকের মাঝে বিক্রি করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ ও স্থানীয়রা। 

কপিরাইট © চাঁপাই নিউজ ডট কম ২০২৪ । সর্বসত্ব সংরক্ষিত।