মেহেদি হাসান
চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁনের সভাপতিত্বে আয়োজিত প্রশিক্ষণের উদ্বোধন পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, সরকারের যুগ্ম সচিব ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের গবেষণা ও প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক মো. আব্দগুল্লাহ আল মামুন। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জাকিউল ইসলাম।
প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় পর্বে দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলী (এস.ও.ডি.) এস.ও.ডি. প্রণয়নের পটভূমি, অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশকে কেন দুর্যোগ প্রবণদেশ বলা হয়, বাংলাদেশে দুর্যোগ সংঘঠন ও ক্ষয়ক্ষতির তথ্যাবলি, বাংলাদেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার উদ্ভব, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সাগঠনিক কাঠামো
জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ও কমিটির কার্যক্রম, হ্যাজারড ক্যালেন্ডার, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কর্মপরিকল্পনা, আপৎকালীন পরিকল্পনাসহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভিন্ন বিষয়সহ এ সংক্রান্ত নানান বিষয়ে প্রজেক্টরের মাধ্যমে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রশিক্ষণের প্রধান অতিথি মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন-দুর্যোগ বলে আসে না। তাই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি গুলোকে সক্রিয় হতে হবে এবং দুর্যোগ পূর্ব, দুর্যোগকালীন এবং দুর্যোগ পরবর্তী করণীয় কি হবে তা আগে থেকেই নির্ধারণ করে রাখতে হবে। এ জন্য দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলী (এস.ও.ডি.) ফলো করতে হবে। জনসচেতনতা সৃষ্টিতে জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তাসহ সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন-আমাদের ৩টি সব চেয়ে বড় নদী হলো পদ্মা. যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র। এই নদীগুলো উজান থেকে প্রচুর পরিমান পলি বহন করে নিয়ে আসে। তার মধ্যে ৪০ শতাংশ সঞ্চিত হয়ে একদিকে নদীগুলো নাব্য হারাচ্ছে অন্যদিকে ৬০ শতাংশ পলি বঙ্গপসাগরে গিয়ে জমা হওয়ার ফলে ঝড় জরচ্ছাস হচ্ছে। ভৌগোলিক কারণেই আমাদের দেশ ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা চেষ্টা করছি আরো আশ্রয় কেন্দ্র করার।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন-জনপ্রতিনিধি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সরকারি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এস.ও.ডি. বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রশিক্ষণে শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, ত্রাণ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রতিনিধি, বিজিবি প্রতিনিধিসহ জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির অন্য সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।