মেহেদি হাসান
আগে চাই বাংলা ভাষার গাঁথুনি-তারপর ইংরেজি ভাষার গোড়াপত্তন, আমাদের দেশের ভাষার জন্য যেসব সৈনিকরা জীবন দান করেছেন তাদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা, যারা দেশের জন্য শহিদ হয়েছেন তারা দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য, দেশের মুক্তির জন্য, দেশ মাতৃকার জন্য জীবন দিয়েছেন। তাই নিজের আত্মউন্নয়ন, চেতনার উন্নয়ন করে তাদের ঋণ পরিশোধ করতে হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান। সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জেলা প্রশাসন আয়োজিত শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মনোয়ারা খাতুন, আদিনা সরকারি ফজলুল হক কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মাযহারুল ইসলাম তরু, বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ, মনিম উদ দৌল্লা। আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জাকিউল ইসলাম।
জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান আরো বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। দুইজন ব্যক্তি একুশে পদক প্রাপ্ত রয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন জীবিত একজন মৃত। আমাদের এ অঞ্চল ছোট হলেও প্রায় ৫ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। তাই চেতনার জায়গাটি আরো বড় হতে হবে। মুক্তিযুদ্ধে বরেন্দ্র অঞ্চলের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। বর্তমান শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনকের তিনটি বই রয়েছে এ বইগুলো ছাত্র-ছাত্রীরা পড়লে দেশপ্রেম, ভাষার চর্চা ও দক্ষতা বাড়বে। বাংলা ভাষা বা মায়ের ভাষা যার যত দখলে নেওয়ার ক্ষমতা অন্য ভাষা দখলে নেওয়ার বিষয়টি তত সহজ হবে। আলোচনা সভা শেষে বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়।