মেহেদি হাসান
ভোলাহাট উপজেলার চারটি ইউনিয়নে চতুর্থ ধাপে ভোট অনুষ্ঠিত হয় গত ২৬ ডিসেম্বর। এদিন দুপুর ১টার মধ্যে ব্যালট পেপার শেষ, অবৈধ ভাবে সিল মারাসহ নানা অনিয়মের কারণে ৩টি ইউনিয়নের ৫টি কেন্দ্রের ভোট স্থাগিত করা হয়।
সোমবার ৭ ফেব্রুয়ারি ৩ ইউনিয়নে স্থগিত হওয়া ৫টি কেন্দ্রে উৎসবমুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণ ভাবে অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল বেসরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। তিনটি ইউনিয়নের একটিতে আওয়ামীলীগ, একটিতে স্বতন্ত্র (বহিস্কার আওয়ামীলীগ) এটিতে স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী বিএনপি) প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
স্থগিত ৩টি ইউনিয়নের ৫টি ভোট কেন্দ্র যথাক্রমে, ভোলাহাট ইউনিয়নের রামেশ্বর পাইলট ইনস্টিটিউশন, গোহালবাড়ি ইউনিয়নের খালে আলমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, দলদলী ইউনিয়নের নাজিরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, ময়ামারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আদাতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এ ফলাফলে যাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন তাঁরা হলেন, ভোলাহাট ইউনিয়নে মোঃ পিয়ার জাহান (মটর সাইকেল) মোট ৪ হাজান ৯৭৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের মোঃ আব্দুল খালেক পেয়েছেন মোট ৪ হাজার ৪৫১ ভোট।
গোহালবাড়ি ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের মোঃ ইয়াশিন আলী শাহ মোট ৮ হাজার ৯৮৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র (বিএনপি) আনারস প্রতীকের মোঃ রফিকুল ইসলাম রানা পেয়েছেন মোট ৫ হাজার ৬৭৩ ভোট।
দলদলী ইউনিয়নে স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী বিএনপি) মোঃ মোজাম্মেল হক চুটু চশমা প্রতীক নিয়ে মোট ৫ হাজার ৭২৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের মোঃ আনিসুর রহমান পেয়েছেন মোট ৪ হাজার ৭৭৮ ভোট।
উল্লেখ্য, উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের মধ্যে ২৬ ডিসেম্বর জামবাড়িয়া ইউনিয়নের স্বতন্ত্র (বিএনপি) আনারস প্রতীকের মোঃ আলফাজ উদ্দিন পানু মিঞা বিজয়ী হন।
নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ভোলাহাট উপজেলা নির্বাচন মোঃ তাসিনুর রহমান জানান, ৩ ইউনিয়নে স্থগিত হওয়া ৫টি কেন্দ্রে উৎসবমুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণ ভাবে অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর জন্য উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন বিভাগের আইনশৃক্ষলা রক্ষাকারিসহ সংশ্লিষ্ট সকলে সহযোগিতা করায় তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন।