চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ : ১৩৬০ মধ্যে সুযোগ পেয়েছেন ৩৪ জন

মেহেদি হাসান

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশে কনস্টেবল পদে লোক নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। ১ হাজার ৩৬০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অনেক চড়াই-উতরাই পার করে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ৩৪ জন। এ উপলক্ষে জেলা পুলিশ লাইনসে বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানানো হয়।

এর মধ্যে ২ জন পুলিশ পোষ্যসহ সাধারণ কোটায় পুরুষ ১৬ জন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পুরুষ ৬ জন, পুলিশ পোষ্য কোটায় পুরুষ ৩ জন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটায় পুরুষ ১ জন, আনসার কোটায় পুরুষ ৩ জন নির্বাচিত হন।

অপর দিকে নারীদের সাধারণ কোটায় ২ জন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ১ জন, পুলিশ পোষ্য কোটায় ১ জন ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটায় ১ জন নির্বাচিত হন। এছাড়া সাধারণ কোটায় (পুরুষ) অপেক্ষমাণ রয়েছেন ৬ জন, পুলিশ পোষ্য কোটায় (পুরুষ) অপেক্ষমাণ রয়েছেন ২ জন এবং সাধারণ নারী কোটায় অপেক্ষমাণ রয়েছেন ২ জন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার এএইচএম আবদুর রকিবের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- নিয়োগ কমিটির সদস্য সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান রহমান ও রাজশাহীর পুঠিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া। তারা নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

নিজ যোগ্যতায় সুযোগ পাওয়া পুলিশ সদস্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- সৈয়দা সুরাইয়া পারভীন, জহিরুল ইসলাম ও আব্দুর রহমান শাদ।

পুলিশ সুপার জানান, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদের স্বপ্ন ছিল একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কনস্টেবল পদে নিয়োগ। আমরা সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে শারীরিক, মানসিক ও লিখিত পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। শুধু আমরাই নই, দেশের ৬৪ জেলার পুলিশ সুপারগণই অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। তিনি বলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুলিশে ভর্তি হওয়ার জন্য প্রথমে অংশগ্রহণ করেছিল ১ হাজার ৩৬০ জন চাকরি প্রার্থী। এর মধ্যে শারীরিক পরীক্ষায় টিকেছিল ৫৬০ জন। এরপর লিখিত পরীক্ষায় ছিল ২৮৮ জন। তাদের মধ্যে থেকে প্রাথমিকভাবে বাছাই হয়েছে ৩৪ জন।

এই ৩৪ জনের উদ্দেশ্যে পুলিশ সুপার বলেন- তোমাদের ভাগ্য ভালো। তোমাদের কোথাও কোনো টাকা দিতে হয়নি। তোমরা তোমাদের যোগ্যতার বলেই চাকরি পেয়েছ। পুলিশ সুপার বলেন- যারা টাকা দিয়ে চাকরি নেয় তাদের সারাক্ষণ চিন্তা থাকে কী করে টাকা রোজগার করব। কিন্তু তোমাদের মধ্যে সেটা থাকবে না। তোমরা জনগণকে প্রাপ্য সেবাটা দিবে।

কনস্টেবল পদে প্রার্থমিকভাবে নির্বাচিত তারমিন খাতুন নামের এক নারী জানান, তার বাড়ি জেলার সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের আতাহার গ্রামে। তার পিতা একজন অটোরিকশা চালক। তিনি বলেন- “আমি অনার্স প্রথম বর্ষে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করি।” চাকরি পেতে কোনো টাকা লাগেনি জানিয়ে তারমিন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন পুলিশ সুপারের প্রতি। এমন অনুভূতি প্রকাশ করেন আরো অনেকেই।

কপিরাইট © চাঁপাই নিউজ ডট কম ২০২৪ । সর্বসত্ব সংরক্ষিত।