মেহেদি হাসান
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ১৪নং সুন্দরপুর ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের ৪০ দিনের কর্মসূচীতে অনিয়মের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর তদন্ত শুরু হয়েছে। দুদকের প্রধান কার্যালয় হতে তদন্ত করার জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসককে নির্দেশে দিলে মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মহসীন মৃধা ইউনিয়ন পরিষদে তদন্ত করতে যান।
তদন্ত চলাকালে চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী ৮নং ওয়ার্ডের আশরাফুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, ৭নং ওয়ার্ডের আব্দুল মতিন, রুবেল ও ৯নং ওয়ার্ডের খাইরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগকারীদের পক্ষে অভিযোগগুলো তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট উপস্থাপন করেন মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন।
জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, সুন্দরপুর ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ৪০ দিনের কর্মসূচীর কোন কাজ না করে সেখানে নিজের পছন্দমত লোকদের শ্রমিক দেখানো, নিজ পরিবারের ৩২জন শ্রমিককে খাতা কলমে নিযোগদান, আবার সরকারি কর্মচারীদেরও শ্রমিক দেখিয়েও প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। এছাড়াও ৪০ দিনের কর্মসূচীতে অন্যসুবিধাভোগী ১০৫জনের নামও পাওয়া গেছে। এতে কোন কোন ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রীর নামও দেয়া হয়েছে।
এতসব অভিযোগের ব্যাপারে চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, কর্মসূচীতে প্রথম পর্যায়ের সরকারি চাকুরীজীবীদের নাম রয়েছে জানার পর তিনি সেসব নামগুলো সংশোধন করেছেন। স্বামী-স্ত্রী একাধিক নাম থাকার ব্যাপারে তিনি বলেন, দেখা গেছে পুরুষ মেম্বার স্বামীর নাম দিয়েছে ও মহিলা মেম্বার স্ত্রীর নাম দেওয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও চেয়ারম্যানের নিজ পরিবারের ৩২জনের নাম থাকার ব্যাপারে তিনি জানান, আমার পিতা একজন বর্গা চাষী ছিলেন, আমাদের বংশীয় বা পরিবারে অনেক দরিদ্র থাকায় তাদের নাম দেয়া হয়েছে।
দুদকের পক্ষে তদন্তকারী কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মহসীন মৃধার কাছে তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশক্রমে তিনি তদন্ত করতে গিয়েছেন। যেহেতু তদন্ত চলমান রয়েছে তাই তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।