মেহেদি হাসান
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ৫২৪৭তম আবির্ভাব তিথি জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টায় নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ শিক্ষক মিলনায়তনে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের আয়োজনে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ট্রাস্টি তপন কুমার সেন।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. শংকর কুমার কুণ্ডু। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেবেন্দ্রনাথ উরাঁও, নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মাযহারুল ইসলাম তরু, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক কনক রঞ্জন দাস, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখার আহবায়ক ডাবলু কুমার ঘোষ।
সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন উত্তরবঙ্গ বৈষ্ণব সংঘের প্রতিষ্ঠাতা আচার্য শ্রী শ্যামকিশোর দাস গোস্বামী। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখার সাধারণ সম্পাদক দিলীপ রায়, বিশিষ্ট সমাজসেবক গৌরি চন্দ সিতু ও মন্দিরভিত্তিক গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের প্রকল্প সহকারী মিলন কুমার দাস।
আলোচনা সভায় আলোচকরা বলেন, ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে রোহিণী লক্ষত্রযোগে কৃষ্ণ মথুরায় কংসের কারাগারে মাতা দেবীর অষ্টম সন্তান রূপে জন্মগ্রহণ করেন। তার এই জন্মদিনকে জন্মাষ্টমী বলা হয়। সনাতন ধর্মের প্রবর্তক ও প্রাণপুরুষ মহাবতার পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতে, প্রায় সাড়ে ৫ হাজার বছর আগে দ্বাপর যুগে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে মহাবতার শ্রীকৃষ্ণ ধরাধামে আবির্ভূত হন। অত্যাচারী ও দুর্জনের বিরুদ্ধে শান্তিপ্রিয় সাধুজনের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কংসের কারাগারে জন্ম নেন তিনি। শিষ্টের পালন ও দুষ্টের দমনে তিনি ব্রতী ছিলেন। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে শ্রীকৃষ্ণ তাই ভগবানের আসনে অধিষ্ঠিত। পরে করোনা থেকে মুক্তি চেয়ে প্রার্থনা এবং প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
শেষে জেলার ৫ মন্দিরের উন্নয়নে ১ লাখ ৬৯ হাজার টাকার চেক বিতরণ করেন ট্রাস্টি তপন কুমার সেন।