মেহেদি হাসান
ভোলাহাট-শিবগঞ্জ সড়কে ডাকাতির ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ভোলাহাট উপজেলার বড়গাছিহাটের মো. আফজাল হোসেনের ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন (৩০), মো. মহসীনের ছেলে মো. লাল্টু মিয়া, মো. ইউসুফ আলীর ছেলে মো. আবদুল জাব্বার (২২) ও মো. আবদুল শুকুর আলীর ছেলে মো. মোকলেছুর রহমান (৪৮)। গত মঙ্গলবার রাত দেড়টায় জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব-৫, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল এ অভিযান চালায়। র্যাবের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৩ আগস্ট রাত পৌনে ৮টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের ফলিমারী বিল সংলগ্ন পাকা রাস্তার ওপর সোনাজল নামক স্থানে জমজম ট্রাভেলস, সাথী এন্টারপ্রাইজে এবং চাঁপাই ট্রাভেলসের গাড়িতে অজ্ঞাতনামা ডাকাত হাফপ্যান্ট পরিহিত অবস্থায় গায়ে গেঞ্জি ও হাতে লোহার রড, হাসুয়া, ছোরা, চাকু এবং লাঠি দিয়ে অজ্ঞাতনামা একটি ট্রাক এবং ভুটভুটি চালক ও হেলপারদের আহত করে এবং ট্রাক ও ভুটভুটি দিয়ে রাস্তায় ব্যারিকেড করে ডাকাতি করে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, বহনকারী বাসের যাত্রী-ড্রাইভার এবং হেলপারের কাছ হতে নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল সেট লুট করে নেয়া হয়। এ বিষয়ে ভোলাহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বলা রয়েছে, লুণ্ঠিত মালামালের মধ্যে নগদ ৭ লাখ ৯২ হাজার ৯০০ টাকা, ১ লাখ ৩২ হাজার ৯০০ টাকা মূল্যের ১৬টি মোবাইল সেট, ৬ ভরি ২ আনার স্বর্ণালংকার রয়েছে।
এ ঘটনার পর র্যাব-৫, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গত মঙ্গলবার রাত দেড়টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ডাকাত দলের ৪ জন সদস্য আনোয়ার হোসেন, লাল্টু মিয়া, আবদুল জাব্বার ও মোকলেছুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত প্রত্যেকের বাড়ি ভোলাহাট উপজেলার বড়গাছিহাটে।
ডাকাতির ঘটনায় আহত একজন গ্রেপ্তার আনোয়ারকে শনাক্ত করেছে। ওই আনোয়ার ডাকাত হেলপারকে বাসের গেট খুলতে দেরি হওয়ায় বড় রড দিয়ে প্রচ- পরিমাণে আঘাত করে। গ্রেপ্তার বাকি তিনজনও সক্রিয়ভাবে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
ওই ডাকাতির ঘটনায় মূল আসামিসহ অন্যদের গ্রেপ্তার এবং লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব-৫।