মেহেদি হাসান
তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ১২ ঘণ্টার মধ্যে একটি ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও আসামিদের গ্রেফতার করেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা আদালতে ১৬৮ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বুধবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আদালতের বিচারক মো. নাজমুল হোসেন জবানবন্দী গ্রহণ করেন। জবানবন্দী গ্রহণ শেষে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নিহত মনিরুল ইসলাম বাবুর স্ত্রী সোনাভান (৩০) ও তার পরকীয় প্রেমিক চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার এলাম উদ্দীনের ছেলে মো. রুবেল আলী (৩০)।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মাহফুজুল হক চৌধুরী জানান, স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার শেখ হাসিনা সেতু এলাকার একটি আম বাগান থেকে মনিরুল ইসলাম বাবু (৩৮) নামে এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর থেকে হত্যাকা-ের রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু হয়। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে একইদিন রাত ১০টার দিকে অভিযুক্ত দুই আসামী গ্রেফতার করা হয়। বুধবার বিকেলে তাদের চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আমলি আদালত- সদর এ সোপর্দ করলে তারা বিচারক মো. নাজমুল হোসেনের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
পরিদর্শক মাহফুজ জানান, নিহত মনিরুল ইসলাম বাবুর স্ত্রী সোনাভানের সঙ্গে একই এলাকার এলাম উদ্দীনের ছেলে মো. রুবেল আলীর (৩০) পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরকীয়া সম্পর্কের বাঁধা দূর করতে ঘটনার ১৫ দিন আগে স্ত্রী সোনাভান ও তার প্রেমিক রুবেল বাবুকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মোতাবেক কৌশলে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শেখ হাসিনা সেতু এলাকার একটি আমবাগান নিয়ে মনিরুল ইসলাম বাবুকে হত্যা করে রুবেল। প্রথমে ইটের আঘাত পরে গলাটিপে হত্যা নিশ্চিত করে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মোজাফফর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আদালত আসামিদের জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার সকালে লাশ উদ্ধারের পর নিহত মনিরুল ইসলাম বাবুর ভাই বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় আটকদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়।