মেহেদি হাসান
করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) বিস্তার রোধকল্পে সারাদেশে ৭ দিনের কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত হয়েছে। শুক্রবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহাসড়কে বিধিনিষেধমুক্ত ভারী যানবাহন ছাড়াও কিছু কিছু রিকশা ও অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। দোকানপাট বন্ধ রয়েছে, বন্ধ রয়েছে গণপরিবহণ।
বিকেলে জেলা শহরের শান্তিমোড়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দেবেন্দ্র নাথ উরাঁওকে বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট লিয়াকত আলী সেখ জানান, জেলার বিভিন্ন স্থানে ১৬টি মোবাই কোর্ট পরিচালনা করে বিধিনিষেধ অমান্য করায় ৯৯টি মামলা দায়ের করা হয় এবং ৪৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। শুক্রবার গোমস্তাপুর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নসহ রহনপুর পৌর এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল লক্ষ্য করা গেছে। উপজেলার দোকানপাট বন্ধ ছিল। রাস্তাঘাটে যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচল ছিল কম।
লকডাউনের বিধিনিষেধ অমান্য করায় গোমস্তাপুরে ১৫ জনকে অর্থদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যথাক্রমে উপজেলা নির্বাহী কর্মর্কতা মো. মিজানুর রহমান ১২টি মামলায় ১ হাজার ৬০০ টাকা এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহরিয়ার নজির ৩টি মামলায় ২ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া শিবগঞ্জ, নাচোল ও ভোলাহাট উপজেলাতেও কঠোর অবস্থানের মধ্যদিয়ে বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত হয়েছে।