হাত ভেঙ্গে রাস্তায় পড়ে থাকা সাগরের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন ডা. ইসমাইল ও ম্যাক্স হসপিটাল

মেহেদি হাসান

মোঃ সাগর (১০), শিবগঞ্জ উপজেলার মোবারকপুর ইউনিয়নের টিকরী গ্রামের ডাকুর ছেলে। গত ২২জুন  তার বাসায় নিজের বোনের বিয়ে চলছিল। সাগর তার বোনের বিয়ে দেখা বাদ দিয়ে ছেলেবেলার  দুরন্তপনা তাই বাড়ির পাশে জাম গাছে গিয়ে উঠে জাম পাড়তে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে তার হাত মারাত্নকভাবে হাত ভেঙ্গে চামড়া ভেদ করে বের হয়ে সেখানে মাটি কাদা ডুকে যায়। ভয়ে বাড়ি না যেতে পেরে রাস্তায় বসে বসে ডুকরে ডুকরে কাঁদছিল। তার কান্না দেখে আর শোভন নামে এক ব্যক্তি তার বাড়ি নিয়ে গেলে সাগরের বোন বিয়ে শেষে শুশুর বাড়ি যাচ্ছে। সাগরের বাবা ডাকু জানান, আমি কর্মহীন এক শ্রমিক অনেক কষ্ট করে মেয়ের বিবাহ সম্পন্ন করলাম। এছাড়া  সাগরের মা দীর্ঘদিন থেকে প্যারালাইজড হয়ে পড়ে আছে। এসব শুনে আর শোভন তাকে নিজে সদর হাসপাতালের সামনে ম্যাক্স হসপিটালে নিয়ে আসে

ম্যাক্স হসপিটালে ডা. ইসমাইল তার পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখে এটি জটিল ফ্র্যাকচার অপারেশন। এটি অপারেশন করতে হবে। এর জন্য খরচ ব্যয়বহল হবে। এটি জেনে আর শোভন ফেসবুকে বৃত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। কিন্তু দুই দিনে কোন সাঁড়া না পেয়ে ম্যাক্স হসপিটালের চিকিৎসক চেয়ারম্যান ডা, গোলাম রাব্বানীকে জানান। পরে ডা. গোলাম রাব্বানী হাড় জোড় বিশেষজ্ঞ ডা, ইসমাইল আলাপ আলোচনা করে ডাক্তারের অপারেশন ফি হসপিটালের যাবতীয় খরচ বাদ দিয়ে তার ফ্রি অপারেশন সম্পন্ন করেন। বর্তমানে সে ম্যাক্স হসপিটালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। 

সাগরের চিকিৎসা পেয়ে আবেগ ধরে রাখতে না পেরে তার বাবা ডাকু জানান, আমি এমনিতেই আমার সহধর্মিনীকে নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে সমস্যায় রয়েছি তারপর সাগরের হাত ভাঙ্গার দিন আমার মেয়ের জন্য পরের কাছ থেকে টাকা ধার করে বিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। আমি ডা. ইসমাইল এর অবদান কোনদিন ভুলবোনা। পাশাপািশ ম্যাক্স  হসপিটালকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। 

বিষয়ে ডা. ইসমাইল জানান, সাগরের জটিল ফ্র্যাকচার অপারেশন এর আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ হতনা। ধরনের রোগীকে রাজশাহী গিয়ে অপারেশন করা লাগত। রোগীর অবস্থা খারাপ তার পরিবারের অসহায়ত্ব দেখে মানবিক দিক বিবেচনা করে তিনি নিজ উদ্যোগে সাগরের জটিল ফ্র্যাকচার অপারেশন করেন। পরে হসপিটালের চেয়ারম্যানকে বলে তিনি হসপিটালেরও সকল ফি মাফ করার ব্যবস্থা করেন

ম্যাক্স  হসপিটালের চেয়ারম্যান ডা. গোলাম রাব্বানী জানান, রোগীর পরিবারের অবস্থা খুবই খারাপ দেখে তিনি তার হসপিটালের ফি সব মাফ করার ব্যবস্থা করেছেন। 

কপিরাইট © চাঁপাই নিউজ ডট কম ২০২৪ । সর্বসত্ব সংরক্ষিত।