MRKZS
পবিত্র রমজান মাসের প্রস্তুতিসহ সামাজিক বিভিন্ন সমস্যা নিরসনের লক্ষে জেলার ইমামদের নিয়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৩১ মার্চ) জেলা প্রশাসন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
সম্মেলনে সদর, শিবগঞ্জ, গোমস্তাপুর, নাচোল ও ভোলাহাট উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, সকল পৌরসভা ও ৪৫টি ইউনিয়ন পরিষদ ভার্চুয়ালি যোগদান করে। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সকাল ৯ টা থেকে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন, জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ। এতে সভাপতিত্ব করেন, জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক আবুল কালাম।
পবিত্র রমজান মাসে জেলার সকল মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আজান এবং রোজার ইফতারির জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করার ব্যাপারে উপস্থিত ইমামগণ ঐকমত্য পোষণ করেন। এ ছাড়াও মাদক, বাল্যবিবাহ, নারী ও শিশু নির্যাতন, নারী ও শিশু পাচার, যৌতুক বন্ধসহসহ সমাজের অবক্ষয় প্রতিরোধে আলোচনা করা হয়। সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, নবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোহম্মদ নজরুল ইসলাম।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. মোহা. এমরা হোসেন, নামোশংকরবাটি হেফজুল উলুম কামিল মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা মো. গিয়াস উদ্দিন, উপর নিমগাছী জেসামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা জামে মসজিদের ইমাম ও মুহতামিম হাফেজ ক্বারী মাওলানা মো. মাহবুবুর রহমান, মুনসেফপুর ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও সেন্ট্রাল জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. হুমায়ন কবিরসহ বিশিষ্ট ইমামগণ। আলোচকগণ রমজান মাসের পবিত্রতা বজায় রাখতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দেবেন্দ্র নাথ উরাঁও, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাকিউল ইসলাম, সাবেক পৌর মেয়র মাওলানা আব্দুল মতিনসহ জেলা সদরের মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সহ ইমাম-মুয়াজ্জিনগণ।
প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুল হাফিজ বলেন, ইসলাম হল শান্তির ধর্ম। একতা ইসলাম ধর্মের অন্যতম একটি আকিদা। তাই জেলায় আমরা সকলে এক হয়ে নির্ধারিত সময়ে সকল মসজিদে আজান হবে এবং একই সময়ে আমরা ইফতারি করবো। ইসলামের এ ঐক্যের মডেল আমরা আমাদের জেলা থেকে প্রথম শুরু করতে চাই। আশাকরি আমরা কামিয়াব হবো এবং ইহকাল ও পরকালের জন্য ভালো কিছু করছি বলে নিজেকে গর্বিত মনে করবো।
জেলা প্রশাসক করোনা মোকাবিলায় জেলার ইমাম সমাজের ভুমিকার ভুয়সী প্রশংসা করেন এবং সকলকে মাস্ক পরিধান করতে, সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা এবং সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে আহবান জানান। রমজান মাস জুড়ে সহি ও শুদ্ধভাবে করোন তেলাওয়াত ও আজান প্রতিযোগিতার প্রস্তাব করেন জেলা প্রশাসক।
জলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ৪টি পৌরসভার ডিজিটাল সেন্টার হতে পৌর মেয়র, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, ইমাম ও মুয়াজ্জিনগণসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ভার্চুয়াল সম্মেলনে যোগদান করেন।