মেহেদি হাসান
বিকেল সাড়ে ৩টা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পাইকড় গাছের নিচে বঙ্গবন্ধু মঞ্চ চত্বরে একদল নারী হাতের সাহায্যে সুই সুতায় মনের মাধরী মিশিয়ে গল্পের মাধ্যমে নকসিকাঁথা সেলাই করছেন। কিছুক্ষন পর তাদের পাশে গিয়ে দেখা গেল তাদের সুনিপুন দক্ষতায় নকশিকাঁথায় ফুটিয়ে তুলছেন বাংলাদেশের গৌরবউজ্জল ইতিহাস। কেউ কেউ সুয়ের ফোঁড়ের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলছেন হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালি জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে। আবার কেউ ফোঁড়ের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলছেন ঐতিহাসিক ৭মার্চের ভাষনের সেই হাতের তজনী। স্বাধীনতার চিত্র, বীরশ্রেষ্ঠদের ছবি আবার কেউ ১৯৭১ সালের পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মিছিল নিয়ে জয় বাংলা জয় বাংলা বলে হাতের তজর্নী নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছেন। আবার কেউ বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মানবতার মা শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের ছবি।
আয়োজক জেলা প্রশাসনের কাছে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিল্পীদের নিয়ে নকশিকাঁখায় স্বাধীনতার ইতিহাস চিত্রায়ণ ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ মঞ্জুরুল হাফিজ জানান, সারা বাংলাদেশ তথা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে পৃথিবী ব্যাপী চাঁপাইনবাবগঞ্জের নকশিকাঁথার সুনাম রয়েছে। এবং এখানকার গৃহবধুরা যাদের অবসর সময় কাঁটে এ নকশিকাঁথা সেলাই করার মধ্যে দিয়ে। আবার কেউ কেউ জীবন জীবিকাও নির্ভর করে এ পেশার উপর। আমরা তাদের বলেছি তাদের নকশিকাঁথায় যদি মহান স্বাধীনতার ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরতে। অল্প সময়ের মধ্যদিয়ে তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, স্বাধীনতার চিত্র, বীরশ্রেষ্ঠদের ছবি। আমি মনে করি এ ম্যাসেজটির মধ্য দিয়ে সাধারণ নারী ও ছেলেমেয়েদের মাঝে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস চেমতায় ধারণ হবে। আমার স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন করছি। জাতির জনকের জন্মবার্ষিকী উদযাপন করছি। আজকে সারাদিন ব্যাপী নারীরা তাদের সুনিপুর হাতের দ্বারা যে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ফুটিয়ে তুলেছে তা আমরা বাধাই করে এগুলো প্রদর্শন করবো এবং বিচারকের মাধ্যমে তাদের পুরস্কৃত করবো। আমরা চায় এ নকশিকাঁতার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার চেতনা দেশের প্রতিটি ঘরে ছড়িয়ে পড়ুক।