মেহেদি হাসান
মানবতার সেবায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার পাঠানপাড়ার মেয়ে নাজনীন ফাতেমা জিনিয়া। ছাত্র অবস্থা থেকে এখন পর্যন্ত তিনি সমাজের অসহায় নিরীহ নারী ও গরীব দুখী মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের এ কঠিন করোনা মহামারী কালেও তিনি কাজ করছেন কর্মহীন অসহায় নারীদের নিয়ে। কখনো কারো বাড়িতে চাল ডাল দিয়ে, জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে কখনো কাউকে ভিক্ষুক থেকে ফিরিয়ে এনে স্বাবলম্বী করতে অথবা গৃহহীনদের গহনির্মাণ করতে কাজ করছেন।
নবাবগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হতে এস.এস.সি, নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ হতে এইচ.এস.সি ও ডিগ্রী এবং রাজশাহী কলেজ হতে দর্শন বিষয়ে এম.এ পাশ করে রাজশাহী বিশ্ব বিদ্যালয় হতে গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞানে ¯œাতকোত্তর ডিপ্লোমা করে শিক্ষা জীবন শেষ করে চাকুরীর পেছনে না ছুটে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে নারী উদ্যোক্তা হিসাবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা হতে জিনিয়া বুটিকস নামে ট্রেড লাই¯েœস ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে মসজিদপাড়া মহিলা সমিতির রেজিঃ নিয়ে সমাজের পিছিয়ে পড়া মহিলাদের নিয়ে কাজ করে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান করার লক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বেকারমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ নিয়ে কাজ করছেন । নিজের কর্মসংস্থান নিজেই তৈরীর করা এবং অন্যের কর্মসংস্থান তৈরীর পাশা পাশি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন ভিক্ষুকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যায় নিয়ে কাজ শুরু করেন।
নাজনাইন ফাতিমা জিনিয়া জানান, জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর হতে বাছাকৃত ভিক্ষুকের তালিকাটা সমাজ সেবা অফিস হতে সংগ্রহ করেন। সেই তালিকা অনুযায়ী ১,২, ও ৩ নং ওয়ার্ডের প্রতিটি ভিক্ষুকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের দুঃখ্য কষ্টের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেন এবং তাদের সম্পর্কে প্রতিবেদন তৈরী করে এবং তাদের কাছে ভিক্ষাবৃত্তি সম্পর্কে মতামত জেনে ভিক্ষুকদের মধ্য হতে অনেকেই বলেছেন ভিক্ষাবৃত্তি কাজ করতে চাই না কিন্তু নিরুপায় হয়ে ভিক্ষা করতে হয়। আমি তাদের কে ভিক্ষাবৃত্তি কাজটি আল্লাহ তায়ালা পছন্দ করেন না এ বিষয়ে নিরুৎসাহিত করেছি। অনেক ভিক্ষুক আমার অনুপেরণা ও সঠিক পরিকল্পনার দেওয়ার ফলে তারা ভিক্ষা না করে বিভিন্ন ধরণের কাজ করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন একজন মানুষ যেন গৃহহীণ না থাকে সেই লক্ষে জমি আছে কিন্তু ঘর নেই এমন গৃহহীণ মানুষকে বিভিন্নি জায়গায় জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় গোলেনুর ও কোহিনুর ২ টি পরিবারকে ঘর করে দেওয়া হয়েছে এবং আরও একটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এছাড়াও তিনি করোনাকালে মানুষ ঘর হতে বের হতে পারছিলেননা ,কাজের মেয়েদের কাজ করা বন্ধ,রিক্সাচালকদের আয় বন্ধ হয়ে মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছিলো ঐ সময় নাজনীন ফাতেমা জিনিয়া বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের নামের লিস্ট করে জেলা প্রশাসনে লিস্টগুলো জমা দিয়ে বিভিন্ন ভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল হতে সহযোগিতা নিয়ে দিয়েছেন সেই অসহায় মানুষগুলো নাজনীন ফাতেমা জিনিয়ার সহযোগিতার হাত আরও প্রসারিত করতে সংরক্ষিত মহিলা আসনে কাউন্সিলর হিসাবে ভোট করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
নাজনীন ফাতেমা জিনিয়া বলেন করোনাকালীণ সময়ে সমাজ সেবামূলক কাজ করতে গিয়ে তাদের আন্তরিক ভালবাসা পেয়ে আরও সমাজ সেবামূলক কাজ করার আগ্রহী প্রকাশ করেন। সেই জন্য তিনি পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা ১, ২ ও ৩ নং আসনে দাঁড়ানোর মনোভাব পোষণ করেন। জিনিয়া বলেন তার ইচ্ছা পোষণ করলেইতো হবে না জনগণ যদি চাই তাহলে সে আরও সমাজ সেবামূলক কাজ করার সুযোগ পাবে।
নাজনীন ফাতেমা জিনিয়া আরো বলেন মানবসেবার ব্রত নিয়ে কাজ করছি। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে চেষ্ঠা করছি। প্রকৃত অভাবী ,অসহায় ও ভূমিহীন মানুষদের খুজে বের করে প্রশাসনের নজরে এনে তাদের সরকারী সহযোগিতা পেতে অনবরত চেষ্ঠা করে যাচ্ছি। এ ধারাবাহিতা অক্ষুন্ন রাখতে তিনি আসন্ন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনে ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা কাউনসিলর হিসেবে জনগণের দোয়া ও সর্মথন প্রত্যাশী করেন ।