মেহেদি হাসান
মেহেদি হাসান
আগাছা, ঝোপঝাড় , জলকরের উন্নয়ন, সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারীদের অভয়ারণ্য আ¤্রপালি বাগান ও পাশ্ববর্তী এলাকা দখলমুক্তকরণ, ২৪ ঘন্টা পাহাড়া নিশ্চিত করণ, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, পুকুরের কচুরিপানা পরিস্কার করে মাছ চাষ, পুকুরপাড় পরিস্কার, পুকুর পাড়ে বসার ব্যবস্থা, অব্যবহৃত জমির ব্যবহার, ইন্টিগ্রেটেড ফার্ম মডেল স্থাপন (হাঁস-মাছ চিনা জোক দমন), সেল সেন্টার স্থাপন, রেকর্ড পরিমান আমের চারা ও কলম স্থাপন, পিকনিক স্পট হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টিকরণ, প্রবেশপথে গাছের সোকেশ স্থাপন, মাল্টার মাতৃবাগান, দার্জিলিং কমলার মাতৃবাগান, পাকিস্থানী কমলার মাতৃবাগান, সীডলেস লেবুর মাতৃবাগান,লতিরাজ, মিষ্টিআলু, কলার সাকার বিক্রয়, বারি মাল্টা-১ উৎপাদন, পেয়ারার কলমসহ বিভিন্ন কাজ হাতে নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টি কালচার সেন্টারকে ঢেলে সাজানোর কাজ চলছে। এছাড়াও ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে পূর্বের বছরের তুলনায় রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৫ লাখ ও চারা কলম বিক্রি করে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৯ লাখ ৩৫ হাজার ৩২৫টাকা। হর্টিকালচার সেন্টারের দক্ষিণদিকে আ¤্রপালি বাগান ও পাশ্ববর্তী এলাকা দখলমুক্তকরণ, পুকুর সংস্কার করে হাঁস-মাছ চিনা জোক দমন সরেজমিন পরিদর্শন করে ও অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১০০ একর জমি নিয়ে ১৯৫৬ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬৮ সালে বিএডিসির কৃষি খামার। ১৯৭৩ সালে উদ্যান উন্নয়ন বোর্ডের হাতে হস্তান্তর। ১৯৮২ সাল থেকে হর্টিকালচার সেন্টার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ৮০ভাগ জায়গায় বাগান ( আম, কাঠাল ,লিচু,বরই বাগান রয়েছে। প্রায় ৬ একর নিচু বা জলভ’মি, নার্সারি ও সবজি উৎপাদনকারী এলাকা ৪ একর। এছাড়াও পুকুর ও ঝিল রয়েছে। আম গাছ রয়েছে ৪৪ জাতের। অন্যান্য গাছের জাত ৩২ ধরনের। মসলা জাতীয় গাছ ৭ ধরনের। শোভাবর্ধন ও অন্যান্য মাতৃজাত গাছ রয়েছে ৩১ ধরনের। নতুন সংগৃহীত আমের জাত ২০টি ও দেশী সংগৃহীত জাত ১২টি রয়েছে বিভিন্ন ফলের মাতৃজাত ২৭টি। ক্লেফট গ্রাফটিং করা হচ্ছে আম, জাম, কামরাঙ্গা, পেয়ারা, আমলকি, বেল, তেঁতুল, লেবু (হাইব্রিড), কাঁঠাল, জলপাই, ডুমুর, কৎবেল, জাবাটিকা, লটকন, ডেওয়া, বাতাবী লেবু ও ডালিমসহ ২৮ জাতের ফল।
হর্টিকালচার সেন্টারে বিভিন্ন প্রজাতির চারা উৎপাদন হলেও এখানে আম গাছের চারা উৎপাদন ও বিক্রয় বেশি হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক মোঃ মাজদার হোসেন জানান, তিনি যোগদানের পূর্বে হর্টিকালচার সেন্টারের উত্তর ও দক্ষিণ পাশের বৃহৎ লেক,পুকুর পাড়, আ¤্রপালি বাগান ও পাশ্ববর্তী এলাকা, ২৪ ঘন্টা পাহাড়া নিশ্চিত করণ, বাদপড়া সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, পুকুরের পানি পরিস্কার, পুকুরপাড় পরিস্কার, পুকুর পাড়ে বসার ব্যবস্থা, অব্যবহৃত জমির ব্যবহার, ইন্টিগ্রেটেড ফার্ম মডেল স্থাপন (হাঁস-মাছ চিনা জোক দমন), সেল সেন্টার স্থাপন, রেকর্ড পরিমান আমের চারা ও কলম স্থাপন, পিকনিক স্পট হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টিকরণ, মাল্টার মাতৃবাগান,দার্জিলিং কমলার মাতৃবাগান, পাকিস্থানী কমলার মাতৃবাগান, সীডলেস লেবুর মাতৃবাগান বাড়ানো হয়েছে। বিভিন্ন জাতের আমের চারা উৎপাদন করার ক্ষেত্রে অব্যহৃত জমি কাজে লাগানো হচ্ছে। এছাড়াও নিয়মিত চারা বিক্রয় মনিটরিং, স্থায়ী অস্থায়ী শ্রমিকদের কাজ মনিটরিং করাসহ নতুন আমের জাত উৎপাদনের কাজ চলছে। তিনি সকল স্তরের মানুষজনকে নিয়ে এ সেন্টারের আরো উন্নয়ন করার জন্য দৃঢ প্রত্যয় ব্যত্ত করেন। আশা করা যায় শ্রীঘই এ হর্টিকালচার সেন্টারটি একটি পরিবেশ বান্ধব হর্টিকালচার সেন্টারে পরিনত হবে।