মেহেদি হাসান
১০ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়ে নিম্নমানের বস্তা কিনলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের কর্মকর্তা শীর্ষক সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। গত ১৮জুলাই চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে প্রকাশিত অনলাইন চাঁপাই বার্তায় এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যে প্রণোদীত। বিশেষ একটি মহলের মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যের উপর ভিত্তি করে এই সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য বিভাগের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্যই এই সংবাদ প্রকাশের অন্যতম কারণ। আমাকে নিয়ে প্রকাশিত মিথ্যা এই সংবাদের তিব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
প্রকৃতপক্ষে, সরকারী কাজে ব্যবহারের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা খাদ্য গুদামের জন্য যে বস্তা প্রয়োজন হয়, তা ঢাকা খাদ্য ভবনের মাধ্যমে টেন্ডার ও ক্রয়ের পর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার জন্য প্রয়োজনীয় বস্তা সরবরাহ করা হয়। এই বস্তার মাধ্যমে খাদ্য-শষ্য সংগ্রহ করে আবারও সরকারী গুদামে জমা নেয়া হয়। জেলা পর্যায়ে বস্তা ক্রয়ের জন্য দরপত্র কমিটি গঠনের কোন বিধান নেই এবং বস্তার মূল্য নির্ধারণের ও পরিশোধের কোন সুযোগ নেই। কাজেই বস্তা কেনায় দূর্নীতি বা অনিয়মের কোন প্রশ্নই উঠে না। উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার দূর্নীতি বা অনিয়মের যে কথা বলা হয়েছে, তাও আদৌ সত্য নয়। একই সংবাদে আমনুরা খাদ্য গুদামের বস্তা নিয়ে যে কথা বলা হয়েছে, তাও সত্য নয়, যা তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।
অন্যদিকে অফিসের ই-মেইলে একটি ঠিকানাবিহীন অভিযোগ ও সংবাদের মাধ্যমে বিষয়টি জেনে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের নেতৃতত্বে একটি টিম তদন্দ করে নিম্নমানের বস্তা ক্রয়ের কোন প্রমান ডায়নি বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক।
আসলে বর্তমান সরকারের চলতি বছরে খাদ্য-শষ্য সংগ্রহ কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ ও সরকারের সুনাম এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা খাদ্য বিভাগের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্যেই এই মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে সরকারী কাজের বাধা সৃষ্টিকারী বা মিথ্যা ও উদ্ভট তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত থাকা এবং তথ্যবহুল ও বস্তুনিষ্ট হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারী
মোঃ সিহাব উদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর খাদ্য গুদাম
চাঁপাইনবাবগঞ্জ