News Desk
নিজস্ব প্রতিবেদক : চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের বসনইল গ্রামের দরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান আব্দুর রহিম ৩৮ তম বিসিএস এ প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছে। অনেক কষ্ট করে শিক্ষাজীবন সমাপ্ত করা রহিমের পরিবারে এখন আনন্দের বন্যা বইছে।
আব্দুর রহিম তার গ্রামে প্রাথমিক শিক্ষাগ্রহন করে রহনপুর এবি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়। ২০০৮ সালে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫.০০ এবং রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ থেকে ২০১০ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫.০০ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। পরবর্তীতে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট ) থেকে ২০১৬ সালে সিভিলে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পূন্ন করে বুয়েটে এমএসসিতে ভর্তি হয় এবং পাশাপাশি বিসিএস এর জন্য পড়াশোনা করতে থাকে।
তার বাবা শরিফুল ইসলাম পেশায় একজন কৃষক। ছোট বেলায় এবি স্কুলে পড়ার সময় সংসারের আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ ছিল। দীর্ঘদিন তার কৃষক বাবার সাথে জমিতে ফলানো সবজি নিজেই মাথায় করে হাটে-হাটে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করত। ২০১০ সালে ভর্তি পরিক্ষায় অংশগ্রহনের জন্য বাবার শেষ সম্বল জমিটুকুও বিক্রি করে দেয়। ২০১২ (রুয়েট) ১ম বর্ষে পড়ার সময় মা মারা যান। ছোট ভাই ও বোনদের পড়াশোনার দায়িত্ব পড়ে তার উপর। কোচিং এ ক্লাস ও টিউশন করিয়ে নিজের ও তাদের খরচ চালাতেন আব্দুর রহিম। তার ছোট ভাই ঢাকায় শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এ স্নাতক ৪র্থ বর্ষে এবং ছোটবোন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এ স্নাতক ১ম বর্ষে পড়াশোনা করছে।
আব্দুর রহিম জানায়, বাবার ইচ্ছাশক্তি ছিল অদম্য। আমার প্রচেষ্টার কারনে আজ আমি প্রতিক‚লতাকে জয় করে অবশেষে লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছি। বর্তমানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এর অধীন স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর " এ সহকারী প্রকৌশলী পদে কর্মরত রয়েছি।