করোনা পরিস্থিতিতেও থেমে নেই গরিবের ডাক্তার খ্যাত দুররুল হোদার কার্যক্রম

মেহেদি হাসান

 মেহেদি হাসান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ :  করোনা ভাইরাসের কারনে অনেক ডাক্তার যখন চিকিৎসা সেবা থেকে নিজেকে দূরে রেখেছেন বা প্রাইভেট প্যাকটিস বন্ধ করে দিয়েছেন ঠিক সেই সময়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে রাতদিন রোগীদের সেবা করছেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) সভাপতি ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ ডায়াবেটিক হাসপাতালের পরিচালক ডা. দুররুল হোদা। করোনা পরিস্থির শুরু থেকেই তিনি ডায়াবেটিক হাসাপাতাল, নিজস্ব চেম্বার, বাসায় এমনকি  ফোনে মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সহ আশপাশের লোকজন তার সাথে সরাসরি বা ফোনের মাধ্যমে যাতে চিকিৎসা সেবা নিতে পারে এ জন্য তার ব্যাক্তিগত মোবাইল নাম্বার জেলা প্রশাসন ফেসবুক এ দিয়েছেন। 

ডাক্তার দুররুল হোদার সাথে কথা বলে জানা গেছে, সেবার মানুষিকতা  নিয়ে রাজশাহী চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ে ২৪ তম ব্যাচে ভর্তি হন সেখান থেকে এমবিবিএস পাস করে শুরু করেন প্রাইভেট প্যাকটিস সাথে সাথে অর্জন বিভিন্ন উচ্চতর ডিগ্রি। বর্তমানে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ ডায়াবেটিক হাসপাতালের পরিচালক এবং নিজ চেম্বারে ডায়াবেটিক ও শিশু বিশেষজ্ঞ হিসেবে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। 

শুধু শহরের নিজ চেম্বারে নয় নাড়ির টানে মানুষের সেবা করার জন্য ১৯৯২ সাল থেকে বৃহত্তর নয়ানশুকা, নামোশংকরবাটী, বারোরশিয়া পাড়া, দক্ষিণ চরাগ্রাম, মিরের খলান, চরমোহনপুর, টিকরামপুর এলাকার মানুষের খুব অল্প ভিজিট নিয়ে সেবা করছেন। এজন্য তাকে ঐ সমস্ত এলাকায় গরীবের বন্ধু ডাক্তার বলেও ডাকেন। 


এ বিষয়ে ডা. দুররুল হোদা জানান, ১৯৯২ সালে মাত্র একজন ডাক্তার, একজন ট্রেকনিশিয়ান, একজন পিয়ন দিয়ে শহীদ সাটু হলে শুরু করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ ডাযাবেটিক হাসাপাতাল। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অদ্যবধি তিনি এখনও সেখানেই পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন। এখন তিলে তিলে সেই ডায়াবেটিক হাসপাতাল ৬০জন ডাক্তার, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়ে ১৫ শয্যা বিশিষ্ট বেড দিয়ে চলছে । সম্প্রতি ১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসাপাতাল নির্মাণের কাজ ও চলমান রয়েছে। এছাড়াও তিনি এলাকায় ১৯৯২ সালে ২০টাকা দিয়ে শুরু করেন চিকিৎসা। এখনও তিনি প্রতিদিন বহু মানুষকে ফ্রি চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন। কারো সাথে চিকিৎসার ভিজিট নিয়ে তিনি কখনো কোনো বড় কথা বলেননা। যে যা দেয় তাতে তিনি খুশি।


কপিরাইট © চাঁপাই নিউজ ডট কম ২০২৪ । সর্বসত্ব সংরক্ষিত।