মেহেদি হাসান
সুপার সাইক্লোন আম্ফানের প্রভাবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিন উপজেলায় ৩৪ বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এইসব বাড়ির টিন উড়ে গেছে। অন্যদিকে প্রচুর পরিমানে আম ঝরে পড়েছে। হেলে পড়েছে বোরো ধান, উপড়ে পড়েছে গাছ পালা। সার্কিট হাউজের সামনে উপড়ে পড়ে একটি আম গাছ।
সুপার সাইক্লোন আম্ফান দেশের উপকূলে আঘাত হানার পর থেকেই চাঁপাইনবাবগঞ্জেও এর প্রভাব পড়তে শুরু করে। সারারাত থেমে থেমে দমকা হাওয়া বয়ে যায়। গাছের ডালপালা তারের উপর পড়ে বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎ সরবরাহ। বাতাসের সঙ্গে টিনের শব্দে সৃষ্টি হয় এক ভয়ঙ্কর রাতের পরিবেশ। এক পর্যায়ে বন্ধ হয়ে যায় ইন্টারনেট ও মোবাইল নেটওয়ার্ক। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ইন্টারনেট ও মোবাইল সেবা চালু হলেও কোনো কোনো এলাকায় এখনও বিদ্যু সরবরাহ স্বাভাবিক হয় নি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন-জেলার অন্য কোনো ফসলের ক্ষতি না হলেও আমের সামান্য ক্ষতি হয়েছে। গড়ে ৬ ভাগ আম ঝরে পড়েছে। এতে টাকার অংকে ২ কোটি ৫২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া কিছু জমির বোরো ধান হেলে পড়েছে। তবে তা ক্ষতির কোনো কারণ হবে না।
আমচাষি শিবগঞ্জের ইসমাইল খান শামীম জানান, সব চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ধাইনগর এলাকায়। তুলনামূলক ফাঁকা এলাকায় বাতাসের ধাক্কাটা বেশি ছিল। এতে ওইসব এলাকার প্রায় ১৫ ভাগ আমের ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও অনেক আমের বোঁটা নরম হয়ে গেছে। সেইসব আম আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ঝরে পড়বে।
এদিকে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান ফৌজদার জানান, জেলার তিন উপজেলায় ৩৪টি বাড়ির আংশিক ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে জেলার সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নে ৭টি, গোমস্তাপুর উপজেলায় ৭টি ও নাচোল উপজেলায় ২০ টি বাড়ির টিন উড়ে গেছে।