হুসনা কানা-৩

News Desk

কারেন্টের লুকোচুরি : 

ডহারে একদিন এক বেটিছাইল্যার সঁতে কথা কহিতে দেইখ্যা হার চাছা একদিন হাঁকে কইহ্যাছিলো যে, ভাতিজ্যা পরেম-টেরেম করিসন্যা, এখন মজা লাগবে কিন্তু পরে বুঝবি, কেনে হামি একথা কইহ্যাছিনু। চাছার কথা শুইন্যা ভিতরখানটা চিলিক মাইর‌্যা উইঠ্যাছিলো। পুছ কইর‌্যাছিনু, কেনে একথা কহিছোজি চাছা? চাছা উত্তর দিয়্যাছিলো ‘আইজ বুঝবিন্যা বুঝবি কাইল, লাড়বি চাড়বি পাড়বি গাইল।’

এগল্যা কথা কি কইর‌্যা বুঝবো, হামিতো ফের হুসনা কানা। কেহু ভালোবাইস্যা ফের চৈদ্দআনাও কহে। অতি ভালোবাসায় এখন ছুটু হোইয়্যা ‘চ’ এ ওকার ‘দ’ আর ‘ন’ তে আকার হইয়্যা গেছে। বুঝো ঠ্যালা। কি আর কোহোবো হুসে যখন এ্যাকটু গাপসো তখন সোইহ্যা-বোইহ্যাই চলতে হইবে। 

বাড়ি থাইক্যা র্বাহালছি কারেন্টর বিল দিতে। অমনি পাছাকড় থাইক্যা হাঁক ‘কুনঠে যাছিস হে...... হুসনা কানা। হামি কহিনু ব্যাংকে যাবো।

: বাপরে! ম্যালা টাকা জমালছিস নাকিহে.... ব্যাংকে যাছিস টাকা তুলতে..

: এলাগ্যায় মানুষ কহে,“....... কিসের গোন্ধানে কাইয়্যা উড়ছে, আর লোকে কহে খানা জুইড়্যাছে।”নারে ভাই কারেন্টের বিল দিতে যাছি।

: আবে কারেন্টিতো থাকে না, বিল কিসের.....

: আবে কারেন্ট পা নাহি না পা। বিলের কি মাফ আছে?

শালার কারেন্টের কথা কি কোহবোরে ভাই,আসসে আর যাইছে, আসসে আর যাইছে। সমা-গমা কিছুই বুঝে না। হার মনে হয় বিসিএস পরীক্ষায় একট্যা প্রশ্ন আসা উচিত ‘কারেন্ট কাকে কহে?’ উত্তর হইবে, ‘যা ঘন ঘন আসা যাওয়া করে তাকেই কারেন্ট কহে।’ 

আচ্ছা কহোতো কারেন্টের এ্যামন অবস্থা কেনে হইবে। ম্যালাঝোনা কহিছে কারেন্টের বেলে অভাব নাই। কেহু ফের কহিছে এট্যা ফাকিবাজী। আসলে কুনটা ঠিক এট্যা হারঘে মতন হুসনা কানারা ক্যামোন কইর‌্যা বুঝবে। হারঘে মাথাতে যে গোবরও নাই। গোবর থাকলেতো সাহার হইতোক, বুদ্ধির আবাদও ভালো হইতোক। ঐ লাইগ্যায়তো আমি হুসনা কানা। 

যাইক, যা কোহোছিনু, কারেন্টের মাথা খারাপ হইয়্যা গেছে। ভুলুক কইর‌্যা আসছে আর চুলুক কইর‌্যা চোইল্যা যাইছে। কারেন্ট ব্যাগোর মাঝে-মইধেই মাথা খারাপ হইয়্যা যাইছে, কাম করতে যাইয়্যা আকাম হইয়্যা বইস্যা থাকছে। ভোররাইতে নিম্হাইছে তখন না হয় বুঝনু এট্যা সেহেরী রান্ধার আলামত। গরম আর মশার কামড়ে বিছ্যান ছাড়তে হইছে। একটু পর আইলো তো ঠিক খাইব্যার সময় ফের চইল্যা গ্যালো, এট্যা কিসের আলামত? রোযাতে তারাবীর লাইগ্যা মানুষ জামাতে খাড়ো হইয়্যাছে ওমনি চইল্যা গ্যালো, এট্যা কিসের আলামত! 

রাইতে যেমনি করেন্ট গ্যালো তেমনি ঢুঁড়ো চ্যারাক-ললঠন। অমনি স্বভাব দোষে মুখে চইল্যা আইেলো গাইল, ‘শালার-বাহিচ্চোত.... কারেন্ট যাওয়ার আর সময় পাইলোনা।”  

কারেন্ট যাওয়া আর আসার ব্যাপারটা এখন নিয়মে পরিনত হইয়্যা গেছে। এট্যার আসল কারনটা যে কি, বুঝতেই পারছিনা। সরকারতো হরহামেশাই কহিছে কারেন্টের কুনু সমস্যা নাই। তেবে কি সরকারকে পঁচাইব্যার লাইগ্যাই কেহু এরকুম করছে। ব্যাপরটা একটু খতিয়্যা দ্যাখা উচিত কোইহ্যা হার মনে হয়। 

কারেন্টের বেহাল দশা দেইখ্যা আইজ মনে পড়ছে হাঁর চাছার কথা। কুনু বেটি ছাইল্যার পেরেমে পড়তেতো পারনুনা কিন্ত কারেন্টের পেরেমে পইড়্যা এখোন মনে হইছে কারেন্ট না লিলে বুঝিন এরকুম দশা হইতোক না।


লেখক : মাহবুবুল আলম, গম্ভীরা নানা

কপিরাইট © চাঁপাই নিউজ ডট কম ২০২৪ । সর্বসত্ব সংরক্ষিত।