হুসনাকানা-১

News Desk

ইভটিজিং

হাঁরঘে দ্যাশে যারা সমাজ নীতি লিয়্যা চিন্তা ভাবনা করে অরা খুব কহে ;“আকজের যুবক তরুণরা আগামী দিনের অমুল্য সম্পদ ; তারাই দেশের ভবিষ্যৎ।” অরাতো কইহ্যা বা লেখ্যাই খালাশ। কিন্তু এই যুবক তরুণরা কুন ঘাঁটায় হাঁটছে, কাম করছে না আকাম করছে তা কেহু তলিয়্যা দ্যাখেনা। হাঁরঘে মতন হুসনা কানারঘে চোখে পড়ে আকাম কুকামগ্যালা কিন্তু হারা কিছু করতে পারিন্যা। ক্যামোন কোইর‌্যা করবো কহো, হাঁরাযে হুসনা কানা।

যাইক, যেট্যা কোহছুনু। হাঁরঘে লবগঞ্জ শহরে ইসকুল, কলেজ, কোচিং, টিচিং সেন্টারগ্যালা সব পেরাই এক জাগাতেই। গাবতলার মোড় থ্যাইকা সেন্টু মার্কেট পৈজন্ত বেটি ছাল্যারঘে ইসকুল, পেরাইমারী ইসকুল, ব্যাটা ছাল্যারঘে হাই ইসকুল আর গরমেন্ট কলেজে ফের ব্যাটা ছাল্যা-বেটি ছাল্যারা এক সোঁতেই ল্যাখা পড়া করে। মহিলা কলেজ যাইতে মোড়খানটায় কোচিং টিচিং সেন্টারে ভত্তি। ব্যাটাছাল্যারঘে ইসকুলের আনজরে পানজরে কুনু গ্যানজাম নাই। কিন্তু বেটি ছাল্যারঘে ইসকুল কলেজের আনজরে পানজোরে সরকারী কলেজের গেটের ডাহিনে বাঁয়ে যুতি দ্যাখো তেবে দেখতে পাইব্যা কতকগ্যালা ঘিনঘিনা ন্যাংটা-পোংটা ছোঁড়ারা বেটি ছাল্যারাকে টিটকারি মারছে। এখন ঐট্যাকে ফের ইভটিচিং না কি জানি কহিছে।

এক এক ঝোনার যুতি তাকা দ্যাখো তেবে তোমারঘে মাথার চুলই খাড়ো হোইবেনা, রক্তও গরম হোইয়্যা যাইবে। অরাকে কিছু কোহলেই ফের সভাই মিল্যা ঝাঁপিয়া পড়বে। এট্যা রোজ দিনের ব্যাপার। কিছু কিছু পোংটা ছ্যাইল্যাপিল্যা স্কুলে পড়ে কিনা পিঠে ব্যাগ ঝুলিয়া ফুটানি কোইর‌্যা কেলাব সুপার মারকেটের সামনে লাইন ধোইর‌্যা খাড়ো হোয়্যা থাকে। বেটিছাল্যারঘে ইসকুল ছুটি হইলেই অরা নিজের নিজের কামে লাইগ্যা পড়ে। আরো কিছু বাপের বোকাইঠ্যা ছ্যাইলা-পিল্যা মোটরসাইকেলে তিনঝোনা কোইর‌্যা চোইড়্হ্যা গাবতলা মোড় থাইক্যা কলেজ গেট পৈজন্ত খালি পাক দিবে।

এইতো সেদিন, এগল্যা দেইখ্যা সাংবাদিকেরা পুলিশকে খবর দিলে তখন পুলিশ আইস্যা অরাকে আদর সোহাগ কোইর‌্যা বিদায় কোইর‌্যা দিলে। কেনে, বড় শাস্তি না হোইলেও মানুষের সামনে কান ধোইর‌্যা উঠ্ বস্ করলে কি হোইতোক না! ঐ ছাইল্যা পিল্যারঘে অভিভাবককে ডাইক্যা সাবধান করলেও তো পারতোক। ভাঠিব্যালায় যুতি কোচিং সেন্টারের আনজোরে পানজোরে দ্যাখো তেবে পোংটাগালাকে দেখতে পাইব্যা কাত্তি মাইস্যা কুকুর গ্যালার মতন লাইন ধোইর‌্যা খাড়ো হোইয়্যা লালসার চোখে তাকিয়্যা জিভ্যার লাল দিয়্যা ঠোঁট ভিজাইছে।

একটা সময় এগল্যাকেই ফের দ্যাখা যায় বিভিন্ন রাজনীতিক দলের মিছিলেও। উপায় থাকেনা তখন ওইগল্যা কইর‌্যা কিছু মাল-পানি কামায়। ঐট্যা দিয়া ডাইল ডুইল খায়। কুনু কুনু সময় গাইলও খায়। এগল্যার লাইগ্যা সমাজে ম্যালা রকুম আকাম কুকাম ছড়িয়্যা পড়ছে। বাড়ছে চুরি, ছিনতাই, রাহাজানী। তাই কহোছি এখনও সময় আছে এগল্যাকে সামলাও। হাঁর মতন হুসনা কানা হইয়্যা থাকিও না। না হইলে কেহুই রেহাই পাইব্যা না। গাঁয়ে একঝোনার বাড়িতে আগুন লাগলে সভারি বাড়িই পুড়বে। .......

লেখক : মাহবুবুল আলম, গম্ভীরা নানা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।

কপিরাইট © চাঁপাই নিউজ ডট কম ২০২৪ । সর্বসত্ব সংরক্ষিত।