চাঁপাইনবাবগঞ্জে এমপিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান
- ৩রা জুলাই ২০২৩ রাত ০৮:০২:৩৫
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর
মেহেদি হাসান
চাঁপাইনবাবগঞ্জে এমপিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ ও সংরক্ষিত নারী আসন-৩৩৮ ফেরদৌসি ইসলাম জেসির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ। সোমবার (৩ জুলাই) বিকেলে সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ ও ফেরদৌসি ইসলাম জেসির নিজ অফিসে গিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপি গ্রহণকালে আব্দুল ওদুদ এমপি বলেন, ১৯৭৩ সালে শিক্ষক আন্দোলনের সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সরকার ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেন। এরপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনাও বাকি সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাকীয়করণ করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আগেও বলেছেন পর্যায়ক্রমে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয় করণ করা হবে। তারপরও শিক্ষক সমাজের আন্দোলনের ফলে আগে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ হতে পারে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সম্মিলিত আন্দোলন একদিন সফলতা লাভ করবে। আমি স্মারকলিপির ভাষা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌছিয়ে দিব।
সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌসি ইসলাম জেসি বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার। এ সরকারের আমলে দেশের শিক্ষা ব্যবসায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। আমরা এমপিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের জন্য এ বিষয়ে সংসদে দাবি জানাবো। সেই সাথে আপনাদের আন্দোলনের সাথে থেকে কাজ করে যাব।
স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ ওবাইদুর রহমান, যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আসলাম কবীর, জেলা কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আতিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি ও সিটি কলেজের অধ্যক্ষ তরিকুল আলম সিদ্দিকী নয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ কবীর, ক্রীড়া সম্পাদক রুবেল ইফতেখারুল ইসলাম রুবেল, দেলশাদ তাহমিনা, বাবুল আখতার, নবাবগঞ্জ মহিলা ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহিল কাফিসহ অন্যান্য শিক্ষকগণ। আগামীকাল (৪জুলাই) চাঁপাইনবাবগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন শিমুল ও ২ আসনের সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমানকে ও স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।
স্মারকলিপিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ জানান, ১৯৭৩ সালের ৭৩ দিনের শিক্ষক আন্দোলনের সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সরকার মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেটে ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেন। এমপিও ভুক্ত মাধ্যমিক শিক্ষকদের বেতন ৫০/-টাকা থেকে ৭৫/- টাকায় উন্নীত করেন এবং উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষকদের বেতন ১৫০/-টাকায় উন্নীতকরণসহ রেশনিং ব্যবস্থা চালু করেন ।
বঙ্গবন্ধু তখন বলেছিলেন আগামী কিছুদিনের মধ্যে আমি মাধ্যমিক (মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক) শিক্ষা জাতীয়করণ করে দিবো। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এ পর্যন্ত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জাতীয়করণের দাবী পুরণ হয়নি। এমপিওভুক্ত শিক্ষাকে বর্তমানে জাতীয়করণ করতে দরকার ২৫% উৎসব ভাতাকে শতভাগে উন্নীতকরণ,জাতীয় বেতন স্কেলভিত্তিক ৪৫-৫০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া প্রদান এবং ৫০০/-মাসিক চিকিৎসা ভাতাকে ১৫০০/-টাকায় উন্নীতকর। এটা করতে খাতগুলোতে সরকারের বার্ষিক অতিরিক্ত টাকা লাগবে সর্বোচ্চ ২ (দুই) হাজার কোটি টাকা। এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয় সরকারী কোষাগারে জমা নিলে প্রতি অর্থ বছরে আয় হবে প্রায় ২৬ (ছাব্বিশ) হাজার কোটি টাকা। ফলে বছরে বেতন খাতে জাতীয়করণ করা শিক্ষক কর্মচারীদের জন্য কোন অতিরিক্ত অর্থ সরকারকে দিতে হবেনা, বরং সরকারী কোষাগারে বাড়তি কিছু পরিমান টাকা জমা হবে।
০ টি মন্তব্য