আজ শনিবার, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১, ২০শে এপ্রিল ২০২৪

ইলিজারভ পদ্ধতি : আবারো সফল অস্ত্রোপচার ডা. ইসমাইলের

মেহেদি হাসান

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইলিজারভ পদ্ধতিতে সফল অস্ত্রোপচার করেছেন ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে কনসালটেন্ট অর্থোপেডিকস সার্জারি ডা. ইসমাইল হোসেন। ইলিজারভ পদ্ধতিতে রিং ও তারের সাহায্যে হাড় ভাঙা ৫ রোগীর পায়ে সফল অস্ত্রোপচার করেন তিনি। শহরের ম্যাক্স হাসপাতালে পাঁচ রোগীর পর্যায়ক্রমে এ অস্ত্রোপচার করা হয়। 

শুক্রবার (২৮ মে) ম্যাক্স হাসপাতালে সরেজমিন ৫ রোগীকে হাঁটা—চলা করতে দেখা যায়। এই পাঁচ রোগী হলেন, রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পাকা মোহনপুর ইউনিয়নের ওবায়দুল হক (৩৮), চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার বাবুপুর গ্রামের মো. নজরুল ইসলাম (৪২), চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার আজাইপুর গ্রামের শরিফুল (৪০), সদর উপজেলার আরমান আলী ও ভোলাহাট উপজেলার এসানুর। 

রোগী ওবায়দুল হক জানান, ৬ মাস আগে এক দুর্ঘটনায় তা পা ভেঙে গিয়েছিল। ৪ মাস ধরে ওষুধি গাছ ও বাতি দিয়ে পা বেঁধে রেখেছিলেন। কিন্তু কোনো উন্নতি না হওয়ায় ডা. ইসমাইল হোসেনের কাছে ইলিজারভ চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেন। 

মো. নজরুল ইসলাম জানান, প্রায় ৩ মাস আগে দুর্ঘটনায় তার এক পা ভেঙে যায়। ডা. ইসমাইলের কাছে চিকিৎসা নিয়ে এখন তিনি সুস্থ আছেন।

তিন চার মাস আগে হাঁটুর বল ও পায়ের হাড় ভেঙে যায় শরিফুলের। স্থানীয়ভাবে কবিরাজি চিকিৎসা নেন তিনি; কিন্তু দীর্ঘদিন পায়ের অবস্থা ভালো না হওয়ায় ডা. ইসমাইল হোসেনের কাছে ইলিজারভ পদ্ধতিতে চিকিৎসা গ্রহণ করেন তিনি। 

অন্যদিকে ভোলাহাট উপজেলার এসানুর তিন মাস আগে এক দুর্ঘটনায় পা ভেঙে গেলে স্থানীয় কবিরাজের কাছে চিকিৎসা করান। কোনো ফল না পাওয়ায় খবর পেয়ে ম্যাক্স হাসপাতালের ডা. ইসমাইলের কাছে চিকিৎসা নেন। এখন হাঁটা—চলাফেরা করতে পারছেন তিনি। 

এছাড়াও আরমান আলীর গত ৩ রমজান দুর্ঘটনায় পা ভেঙে যায়। এরপর তিনিও ইলিজারভ পদ্ধতিতে চিকিৎসা নিয়ে হাঁটা—চলাফেরা করতে পারছেন। 

ডা. ইসমাইল হোসেন জানান, ইলিজারভ হাড় ভাঙ্গা রোগের খুব কার্যকর পদ্ধতি। শরীরের ছোট্ট অংশ কেটে এ চিকিৎসা দেয়া হয়। ওপেন ফ্রাকচার, দীর্ঘস্থায়ী ইনফেকশন, জন্মগত ও আঘাতজনিত বিকলাঙ্গতা অথবা এমন সব হাড়ের সমস্যা অন্য কোনো পদ্ধতিতে চিকিৎসা করা সম্ভব না। ইলিজারভ পদ্ধতিতে ৬ মাস থেকে দেড় বছরের মধ্যেই রোগীরা সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যায়। এ পদ্ধতির বিশেষত্ব হলো, চামড়ার ভেতরে প্লেট ও রড ঢোকানোর প্রয়োজন নেই, তাই পরবর্তীতে অপারেশনের দরকার হয় না।

ডা. ইসমাইল আরো বলেন, শুধু ম্যাক্স হাসপাতালে নয়, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে আমি নিজে এ ধরনের অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। এখন সেই রোগীরা সুস্থ আছেন। তিনি বলেন, হাসপাতালে বাঁকা পাও সোজা করা হয়েছে এ চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল ও ম্যাক্স হসপিটালে গত দুই বছর যাবত এ অপারেশন নিয়মিত হচ্ছে।  ইতোমধ্যে ৫০ এর অধিক  রোগীর এ অপারেশন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

মন্তব্য সমুহ
০ টি মন্তব্য
মন্তব্য করতে লগইন করুন অথবা নিবন্ধন করুন
এই শ্রেনির আরো সংবাদ

ফিচার নিউজ